কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কচুর মুখি রান্নার রেসিপি

প্রিয় পাঠক আপনি কি কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে আজ আলোচনা করবো কচুরমুখী খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কচুর মুখী অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি। কচুর মুখি খাওয়ার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হই। কচুর মুখি খেলে পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে, হজম শক্তি বেড়ে যায়। এই সবজি খাওয়ার ফলে আমরা আরো কি কি উপকার পাই তা জানার জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কচুর মুখি রান্নার রেসিপি

কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কচুর মুখি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার। এই সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগ হয়। আর পুষ্টি উপাদান যোগ হওয়ার কারণে আমরা শারীরিকভাবে বিভিন্ন রকম উপকার পেয়ে থাকি। সত্যিকার অর্থে এই সবজি খেয়ে আমরা কি কি উপকার পেয়ে থাকি এবং কি কি অপকার পেয়ে থাকে তা নিম্নে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করা হলো।

কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর মুখি খাওয়ার কারণে মানুষের হজম শক্তি বেড়ে যায়, নিয়মিত কচুর মুখি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। এরকম বিভিন্ন ধরনের উপকার কচুর মুখি খাবার ফলে পাওয়া যায়। এছাড়াও এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকায় আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কচুর মুখী খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।

১. ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য উত্তম একটি সমাধান হতে পারে কচুর মুখি। কারণ কচুর মুখির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকলেও ক্যালোরি পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই এটি খেলে ওজন স্বাভাবিকভাবে কমে যায়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কচুর মুখির মধ্যে বিভিন্ন উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপস্থিত থাকে। আর ভিটামিন সি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল তাদের জন্য একটি ভাল সমাধান হতে পারে কচুর মুখি।

৩. পাকস্থলী পরিষ্কার করেঃ কচুর মুখি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সবজি খাওয়ার ফলে মানুষের পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে। যারা দীর্ঘদিন থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য একটি ভালো সমাধান হতে পারে কচুর মুখি।

৪. হজম শক্তি বাড়ায়ঃ কচুর মুখির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফাইবার। আর ফাইবার মানুষের হজম শক্তি বাড়াতে চমৎকার কাজ করে থাকে।

৫. হৃদরোগের উপর ঝুঁকি কমায়ঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ সবজি হল কচুর মুখী। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকলেও এতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল এর পরিমাণ খুবই কম থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি একেবারেই থাকে না।

৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কচুর মুখি মধ্যে যে চর্বি রয়েছে তার পরিমাণ খুবই কম, এবং কোলেস্টেরল কম থাকার কারণে রক্তের চাপ সব সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে।

৭. ক্লান্তি দূর করেঃ কচুর মুখির মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান গুলো বিদ্যমান আছে এগুলো মানুষের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রচুর পরিশ্রম করে এসে কচুর মুখি দিয়ে খাবার খান তাহলে দেখবেন আপনার ক্লান্তি খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি রোগ যেটা মানুষের জন্য অনেক কষ্টদায়ক। যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন তাহলে আপনার জন্য একটি ভালো সমাধান হতে পারে কচুর মুখি।

৯. চেহারার সজীবতা ধরে রাখেঃ কচুর মুখির মধ্যে ভিটামিন এ, সি, বি, কপার ম্যাঙ্গানিজ জিংক এরকম অনেক ধরনের উপাদান আছে যেগুলো মানুষের চেহারাকে আরো সতেজ করে তোলে। অর্থাৎ নিয়মিত কচুর মুখি খেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না।

১০. শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়ঃ কচুর মুখিতে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে এটি মানুষের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুখির মধ্যে ৪০% শক্তি থাকে। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তারা শক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত কচুর মুখি খেতে পারেন।

১১. চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ কচুর মুখির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান আছে। আর ভিটামিন এ মানুষের চোখের কার্যকারিতা বাড়ায়। অর্থাৎ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কচুর মুখী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১২. রক্তশূন্যতা দূর করেঃ প্রচুর পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ একটি খাবার হল কচুর মুখি। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরে রক্ত উৎপাদন হয়। নিয়মিত কচুর মুখি খাওয়ার কারণে শরীর থেকে রক্তশূন্যতা দূর হয়।

কচুর মুখি খাওয়ার অপকারিতা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম কচুর মুখী একজন মানুষের জন্য কত বেশি উপকারী। এই সবজি একদিকে যেমন মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগ করে অন্যদিকে শরীর থেকে বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করে। উপকারের পাশাপাশি কচুর মুখি বিভিন্ন সময় মানুষের অপকার করে থাকে। কচুর মুখী মানুষের জন্য কি কি অপকার করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গলা চুলকায়ঃ কচুর মুখির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অক্সলেট থাকে। আর অক্সলেট থাকার কারণে মানুষের গলা চুলকায়।

কিডনিতে পাথর হতে পারেঃ অতিরিক্ত কচুর মুখি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।কারণ কচুর মুখিতে যে অক্সলেট আছে এটা পরিমাণে বেশি হয়ে গেলে কিডনিতে পাথর তৈরিতে সাহায্য করে।

এলার্জির সমস্যা বাড়ায়ঃ যারা দীর্ঘদিন থেকে এলার্জি জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কচুর মুখি পরিমাণে কম খেতে হবে। যদি খাওয়ার পরে অ্যালার্জি বেড়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে আর না খাওয়াই ভালো। কারণ কচুর মুখিতে প্রচুর এলার্জি আছে।

পেট খারাপ হতে পারেঃ অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের আশায় অতিরিক্ত কচুরমুখী খেলে পেট খারাপ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

কচুর মুখি রান্নার রেসিপি

কচুর মুখি অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার হলেও রান্না ভাল না হলে এটি খেতে মজা পাওয়া যায় না। যেকোনো খাবার কতটুকু সুস্বাদু হবে তা নির্ভর করে রান্নার উপর। তাই কচুর মুখি রান্না করার আগে এর রেসিপি সম্পর্কে সবার স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। সর্বপ্রথম জানতে হবে কিভাবে রান্না করলে খেতে খুবই স্বাদ হবে এবং এর পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন থাকবে। চলুন তাহলে কচুর মুখি রান্নার রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  1. চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখি রান্নার রেসিপি
  2. চিংড়ি ২৫০ গ্রাম
  3. কচুর মুখি ৫০০ গ্রাম
  4. রসুন কুচি ১ চা চামিচ
  5. পিয়াজ কুচি ১ টেবিল চামিচ
  6. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামিচ
  7. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামিচ
  8. লেবুর রস ১ চা চামিচ
  9. ধনেপাতা কুচি পরিমাণ মত
  10. লবণ স্বাদ মতো
  11. পানি ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
  • প্রথমে কচুর মুখিকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
  • এরপর উপর থেকে ছাল তুলে দুই টুকরো করে নিন।
  • চিংড়ি গুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
  • এরপর চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে লবণ ও হলুদ দেওয়া চিংড়িগুলো ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
  • রসুন কুচি পেঁয়াজ কুচি ও অন্যান্য মসলাগুলো তেলের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষন নাড়তে থাকুন।
  • মসলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে কচুর মুখি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন।
  • এরপর কড়াইয়ের মধ্যে এক কাপ পানি, লেবুর রস, লবণ ও ভাজা চিংড়ি দিয়ে দিন।
  • এভাবে এভাবে কয়েক মিনিট রাখার পরে এর মধ্যে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
  • হয়ে গেল চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখি রান্নার রেসিপি।
গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর মুখিতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান থাকায় এটি একজন মানুষের জন্য যেমন উপকারী তেমন গর্ভবতী মায়ের জন্য আরও বেশি উপকারী। গর্ব অবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশু উভয়েরই উপকার হয়ে থাকে। কচুরমুখী খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ভালো হয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নেয়া যাক।

রক্তশূন্যতা দূর করেঃ একজন গর্ভবতী মায়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রক্তশূন্যতা। কারণ এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের রক্তপাত বেশি হয়। আর কচুর মুখির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বিদ্যামান আছে। তাই গর্ব অবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর হয়।

হজম শক্তি বেড়ে যায়ঃ কচুর মুখির মধ্যে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর ফাইবার একজন গর্ভবতী মায়ের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ যেসব গর্ভবতী মা দীর্ঘদিন থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম সমাধান হতে পারে কচুর মুখি। কারণ কচুর মুখি খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দূর হয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ কচুর মুখিতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো গর্ভবতী মায়ের হার্ট কে ভালো রাখে। যার ফলে নিয়মিত কচুর মুখি খাওয়ার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ কচুর মুখিতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি থাকলেও চর্বি ও কোলেস্টেরল খুবই কম থাকে। তাই কচুর মুখি খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ কচুর মুখিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান আছে। নিয়মিত কচুরমুখী খাওয়ার ফলে গর্ভবতীর মায়ের এবং গর্ভজাত শিশুর দৃষ্টিশক্তি বেড়ে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা বিভিন্ন ধরনের রোগে ভোগেন। কচুর মুখী গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কচুর মুখিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যামান আছে।

কচুর মুখি খেলে কি ওজন বাড়ে

কচুরমুখী খেলে কি ওজন বাড়ে আপনারা অনেকেই এই বিষয়ে জানতে চান। কচুর মুখি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম বরং ওজন কমে যায়। কারণ কচুর মুখিতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি বিদ্যমান থাকলেও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। ক্যালরির পরিমাণ থাকার কারণে কচুর মুখি নিয়মিত খেলে ওজন স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। তবে ওজন বেশি কমানোর আশায় বেশি পরিমাণে খেলে বিপরীত হতে পারে।

কচুর মুখি english name

বাঙালি হিসেবে আমরা প্রত্যেকটা জিনিসের বাংলা নাম সহজেই বলতে পারি। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিকভাবে কোন কিছু করতে হয় তখন প্রত্যেকটা জিনিসের ইংরেজি নাম জানা প্রয়োজন হয়। কচুর মুখি আমরা বাংলা নাম সহজে জানলেও এর ইংরেজি নাম কি আমরা অনেকেই সঠিকভাবে জানি না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাতে কচুর মুখি বললেও ইংরেজিতে বলা হয় Taro Roots.
কচুর মুখিতে কি থাকে

কচুর মুখিতে কি থাকে

কচুর মুখিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। যেমন ভিটামিন এ বি সি, খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জিংক ফাইবার সহ অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান। এগুলো প্রচুর পরিমাণে বিদ্যামান থাকলেও এর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এছাড়াও কচুর মুখিতে আয়রন ক্যালসিয়াম প্রোটিন ম্যাঙ্গানিজ এরকম অনেক ধরনের উপাদান আছে।

কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

১০০ গ্রাম কচুর মুখিতে কত ক্যালরি থাকে?
প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুখিতে প্রায় ৭০ থেকে ৯০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। এছাড়া আরো অন্যান্য অনেক উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার এবং মানব শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

কচুর মুখির ফলন কত?
কচুর মুখির ফলন নির্ভর করে জাতের উপরে। কোনো জাতের ফলন অনেক বেশি হয় আবার কোনো কোনো জাতের ফলন কম হয়। বিভিন্ন জাত অনুযায়ী প্রতি শতকে ৭০ থেকে ৯০ কেজি ফলন হয়। তবে এটা কম বেশি নির্ভর করবে আপনার পরিচর্যার উপরে।

কচুর মুখি লাগানোর সময়?
সাধারণত আমাদের দেশে কচুর মুখি রোপন করা সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে মধ্যে মাঘ থেকে মধ্য ফাল্গুন পর্যন্ত। এই সময়ে কচুর মুখি লাগালে সবচেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়। এর চেয়ে কয়েকদিন আগে পরে লাগানো যেতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে ফলন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

শেষ কথাঃ কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। কচুর মুখি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি। এই সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যেমন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগ হয় তেমনি বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য ও পেট পরিষ্কার করার জন্য কচুরমুখী অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার।

এছাড়াও কচুর মুখি ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তশূন্যতা দূর করে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে, তবে কোনোভাবেই বেশি উপকার পাওয়ার আশায় বেশি পরিমাণে কচুর মুখি খাওয়া যাবে না। কারণ কচুর মুখিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যালার্জি আছে। এছাড়াও কচুর মুখি বেশি খেলে পেট খারাপ, পাতলা পায়খানা, কিডনিতে পাথরসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, কচুর মুখি রান্নার রেসিপি, কচুর মুখি খেলে কি হয়, কচুর মুখির ইংলিশ নাম, কচুর মুখি লাগানোর সময়, কচুর মুখি খেলে কি ওজন বাড়ে। এরকম বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়। তাই সব সময় সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url