বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে কি আপনি বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু এই সম্পর্কে আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কথাও সম্পূর্ণভাবে গাইডলাইন পাচ্ছেন না। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকার-যাওয়ার-উপায়

বাংলাদেশ থেকে আজকাল অনেক লোকজন আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছে। কেউ কাজের জন্য কেউ পড়াশোনার জন্য। অনেকেই জানে না কিভাবে বা কোন উপায়ে সহজে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া যাই। আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণরূপে আলোচনা করবো। কেন বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ আপনাকে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং এর সম্পূর্ণ খরচ করতে কেমন খরচ হয় তার সম্পর্কে আপনাদের জন্য আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো মতো করতে পারেন তাহলে আপনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকার-যাওয়ার-উপায়

আজকাল বাংলাদেশ থেকে মানুষ আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে কেউ পড়াশোনার জন্য কেউ বা কাজের জন্য এবং অনেকেই আমেরিকা দেশকে ঘুরে দেখার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজন ভিসা। যারা কাজের জন্য আমেরিকায় যেতে চাই তারা বা তাদের মধ্যে অনেকেই জানে না কিভাবে তারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাবে। তাই তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি সহজভাবে তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার কয়েকটি বৈধ ও প্রচলিত উপায় আছে। সব থেকে সাধারণ উপায় হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া। যেখানে সবচেয়ে খরচ কম হয়ে থাকে। তাছাড়া ভিজিটর ভিসা এবং বিজনেস ভিসার ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে যাওয়া যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল ওয়ার্ক ভিসা। বেশিরভাগ মানুষ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে গিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার কারন কি?

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকে। একজন একেক উদ্দেশ্য নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা । আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। সেখানে রয়েছে আধুনিক মানের ল্যাব , গবেষণার জন্য রয়েছে উন্নত মানের গবেষণাগার । তাছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা ক্লাস নিয়ে থাকা হয়। এখানকার ডিগ্রী আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কারণে পড়াশোনা শেষে একটি ভালো মানের ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।


বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার আগেরটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ভালো চাকরি ও আয়ের সুযোগ । সেখানে যেমন ভালো চাকরি পাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভালো বেতনও পাওয়া যায়। তাই অনেকেই আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায় শুধু একটি আশায় এবং যেন তারা উচ্চ মানের একটি বেতনের চাকরি পেয়ে থাকে ।

তৃতীয় কারণ হচ্ছে উন্নত জীবন ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার বিধান। সেখানে মানুষদের জীবনযাত্রা অনেক উন্নত এবং সেখানে তাদের নিরাপত্তা অনেক ভালোভাবে দেওয়া হয়। মানুষ যেখানে উন্নত জীবন ব্যবস্থাও নিরাপত্তা লাভ করবে সেখানে মানুষ যাবে। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ তাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য সেখানে গিয়ে থাকে । তাছাড়া সেখানে রয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

বাংলাদেশ থেকে কারা বেশি আমেরিকা যায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বেশি যান শিক্ষার্থীরা। কারণ তারা বিভিন্ন স্কলারশিপ পেয়ে খুব কম খরচে আমেরিকার গিয়ে থাকে। যার উচ্চ শিক্ষা নিতে আগ্রহী বিশেষ করে অনার্স , মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে চান এর সকল স্টুডেন্টরা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় গিয়ে থাকে । তাছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাই তারা আমেরিকায় যেতে বেশি ইচ্ছুক। কারণ সেখানে রয়েছে উন্নত মানের প্রতিষ্ঠান। যেখানে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার আরেকটি বড় অংশ হলো দক্ষ পেশাজীবী ও চাকরিজীবীরা। আইটি প্রফেশনাল, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার , ডাক্তার ও টেকনিক্যাল স্কেল সম্পূর্ণ ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে  আমেরিকা গিয়ে থাকে। আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানিগুলো অভিজ্ঞ দক্ষ কর্মী খুঁজে। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা খুব সহজে সেখানে চারিত্রের সুযোগ পেয়ে থাকে।

এছাড়াও যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা পারিবারিক কারণে ও স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ আমেরিকা যান। তারা তাদের জীবন কে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য সেখানে পাড়ি জামায় ।
আবার অনেকেই আছেন যারা ড্রাইভিং ভিসা মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যায়। কেউবা রেস্টুরেন্ট ভিসা , ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে এখানে যেয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রেণীর মানুষ এই আমেরিকায় যায়।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেহেতু অনেক দূরত্বের পথ সেহেতু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে অনেক সময় লাগবে । অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা।  তাদের জন্য এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা হলো।

আরো পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে মোট সময় মূলত ফ্লাইট রুট, ট্রানজিট এবং এয়ারলাইনের ওপর নির্ভর করে। সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সাধারণত এক বা একাধিক ট্রানজিট নিয়ে যেতে হয়। এই কারণে ভ্রমণের সময় কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।একটি সাধারণ এক-স্টপ বা দুই-স্টপ ফ্লাইটে বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পৌঁছাতে প্রায় ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে ট্রানজিটে অপেক্ষার সময় বেশি হলে মোট যাত্রার সময় ৩০ ঘণ্টা বা তারও বেশি হতে পারে।

যদি ট্রানজিট কম হয় এবং ফ্লাইট শিডিউল ভালো হয়, তাহলে তুলনামূলক কম সময়ে পৌঁছানো সম্ভব। তাই টিকিট বুক করার সময় ফ্লাইটের মোট সময়, ট্রানজিটের দেশ ও অপেক্ষার সময় ভালোভাবে দেখে নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে বেশ সময় লেগে থাকে। তাই আপনারা এই বিষয়েই ভয় না পেয়ে যদি সঠিক ট্রানজিট ঠিক করতে পারেন তাহলে আপনারা সঠিক সময় সেখানে পৌঁছে যাবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে স্টুডেন্ট ভিসার উপায়

বাংলাদেশ থেকে যারা আমেরিকা যায় তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি হচ্ছে স্টুডেন্ট । স্টুডেন্টরা তাদের স্কলারশিপ পেয়ে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে মাধ্যমে আমেরিকা এগিয়ে থাকি। তাই তাদের খরচের পরিমাণটা অনেক কম হয়ে থাকে। বেশিরভাগ খরচ সরকার বহন করে থাকে। তারা খুব সহজেই এর মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসা আমেরিকা যেতে হলে কিছু শর্ত থাকে। যেগুলো পূরণ না করলে যাওয়া যায় না তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সব শর্তগুলো  কি কি।

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার শর্তঃ
  • SEVP অনুমোদিত কলেজ বা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে হবে।
  • ভর্তি হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান থেকে ১ থেকে ২০ পর্যন্ত ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে
  • বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • পরিশোধ করতে হবে
  • পড়াশুনার সব খরচ বহনের জন্য আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ দেখাতে হবে
  • প্রয়োজন অনুযায়ী ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণ যেমন ILETS ইত্যাদির প্রমাণ দেখাতে হবে
  • আগের সব শিক্ষাগত সার্টিফিকেট থাকতে হবে
  • ইন্টারভিউতে প্রমাণ করতে হবে যে পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশ ফেডার ইচ্ছা আছে
ইস্টুডেন্ট ভিসায় যেতে  খরচঃ

১. ভিসা ও সরকারি ফিঃ বাংলাদেশে আমেরিকা যেতে ভিসা ও সরকারি ফি আনুমানিক ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

২. ভর্তি ও টেস্ট সংক্রান্ত খরচঃ ভর্তি ও টেস্টের সংক্রান্ত খরচ করতে মোট ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে এটা নির্ভর করে ইউনিভার্সিটি সংখ্যার উপর।

৩. টিকিট ও প্রাথমিক খরচঃ বিমান টিকেট প্রাই দেড় লাখের মতো। 

সর্বোপরি বলতে গেলে একজন স্টুডেন্ট তার স্টুডেন্ট ভিসা আমেরিকা যেতে শুরুতে মোট খরচ হয় 20 থেকে 40 লাখ টাকা্‌, তবে তার যদি স্টুডেন্ট ভিসা থেকে থাকে তাহলে এর থেকে আরও অনেক কম হবে।

বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় এর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে ওয়ার্ক ভিসা ।বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রথমেই আমেরিকার কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পেতে হয়, কারণ বেশিরভাগ ওয়ার্ক ভিসা নিয়োগকর্তার স্পনসর ছাড়া সম্ভব নয়। নিয়োগকর্তা আপনার পক্ষে USCIS-এ পিটিশন দাখিল করে এবং সেটি অনুমোদিত হলে ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ওয়ার্ক ভিসার জন্য সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে সেগুলো হলো বৈধ পাসপোর্টঅনুমোদিত পিটিশন  অনলাইন ফরম, ভিসা আবেদন ফি রসিদ, শিক্ষাগত সনদপত্র, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা মেডিক্যাল রিপোর্ট। কোন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা  কাগজপত্রে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।

সবশেষে আবেদনকারীকে U.S. Embassy, Dhaka তে ভিসা ইন্টারভিউ দিতে হয়। ইন্টারভিউতে আপনার চাকরির ধরন, দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সব তথ্য সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য হলে ওয়ার্ক ভিসা অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা করতে সাধারণত যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো পয়েন্ট আকারে নিচে দেওয়া হলোঃ

  • Sponsor Employer যে কোম্পানি ভিসা স্পনসর করবে 
  •  নিয়োগকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত 
  •  কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট   
  • DS-160 অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম
  •  ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রসিদ
  •  শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
  • মেডিক্যাল রিপোর্ট
  • ভিসা ইন্টারভিউ

তাই বলা যায় যে ওয়ার্ক ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে একজন নাগরিকের অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। জিনিসপত্র ছাড়া সে আমেরিকা যেতে পারবে না।

টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে

মানুষ আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন কারণে যায়। কেউ যায় পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য, যেমন নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস বা গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। কেউ যায় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে, যারা সেখানে থাকে। এছাড়া শপিং, ছোট ভ্রমণ বা বিশেষ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেও মানুষ যায়। সংক্ষেপে, টুরিস্ট ভিসা মূলত অস্থায়ী ভ্রমণ এবং দেশে ফিরে আসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কারণ

  • বৈধ পাসপোর্টঃ  যাত্রার সময় অন্তত ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
  • DS-160 ফরম পূরণঃ  অনলাইন আবেদন ফরম, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মূল।
  • ভিসা আবেদনঃ ফি পরিশোধের রসিদ  আবেদনটি বৈধ করার জন্য প্রয়োজন।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ফর্ম ও ইন্টারভিউতে ব্যবহার হবে।
  • ভ্রমণের কারণ বা পরিকল্পনার প্রমাণ ঃ যেমন হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট, ট্রাভেল আইটিনেরারি।
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ ঃব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পনসর লেটার; দেখাতে হবে ভ্রমণের খরচ বহন করতে পারবে।
  • পেশা বা চাকরির প্রমাণ ঃদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা আছে প্রমাণ করার জন্য।
  • পরিবার বা দেশে বন্ধনের প্রমাণ ঃ পরিবার, সম্পত্তি বা চাকরি; দেশে ফেরার নিশ্চয়তা দেখায়।
  • ভিসা ইন্টারভিউ ঃ U.S. Embassy, Dhaka-তে সাক্ষাৎকার; উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে।
খরচঃ
  • ভিসা আবেদন ফি:  ২০,০০০ টাকা
  • ফ্লাইট টিকিট: ঢাকা থেকে আমেরিকা ১,২০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা
  • হোটেল ও থাকা খাওয়া: প্রায় ২,১০,০০০–৪,২০,০০০ টাকা
  • ভ্রমণ ও দর্শনীয় স্থান খরচ:প্রায় ৩০,০০০–৭৫,০০০ টাকা
  • বিমা বা অন্যান্য জরুরি খরচ: প্রায় ৭,০০০–১৫,০০০ টাকা
তবে সেখানকার খরচ নির্ভর করে আপনি কেমন খাবার দাবার খাবেন কেমন হোটেলে থাকবেন এবং সেখানে আপনি কতদিন থাকবেন।

বিজনেস ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন

বিজনেস ভিসা হলো এমন একটি ভিসা, যার মাধ্যমে কেউ বিদেশে ব্যবসা–সংক্রান্ত কাজ যেমন মিটিং, কনফারেন্স, ট্রেড ফেয়ার, চুক্তি স্বাক্ষর বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে পারে। যারা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজনেস ভিসা করতে সাধারণত প্রয়োজন হয় বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ব্যবসায়িক আমন্ত্রণপত্র  নিজের ব্যবসার কাগজপত্র বা কোম্পানি প্রোফাইল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভ্রমণ পরিকল্পনা ট্যাক্স সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং কখনো কখনো ট্রেড লাইসেন্স বা চেম্বার অব কমার্সের সার্টিফিকেট।

সঠিক কাগজপত্র ও পরিষ্কার উদ্দেশ্য থাকলে বিজনেস ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। তাই আবেদন করার আগে সব ডকুমেন্ট ভালোভাবে প্রস্তুত করা এবং নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাসের নিয়ম ভালোভাবে জেনে নেওয়াই ভালো ।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া ভিসা পেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা পেতে কত সময় লাগে সেটা নির্ভর করে আপনি কিসের উপর ভিসা করবেন এবং আপনি কোন জায়গা থেকে ভিসা করতেছেন। ভিসা করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে এই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ বর্তমানে এখন দুর্নীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনাকে ভিসা করার পূর্বে অবশ্যই সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে যেতে হবে । না হলে দেখা যায় যে আপনি অনেক কিছু না জানার কারণে আপনার কাছ থেকে টাকা বেশি নেই এবং দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ভিসা পেতে সময় মূলত ভিসার ধরন, আবেদন প্রক্রিয়া এবং ইন্টারভিউ স্লটের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, DS-160 ফরম পূরণ এবং আবেদন ফি পরিশোধের পর ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়, যা কখনও ১থেকে২ সপ্তাহ, আবার ব্যস্ত সময়ে ১থেকে ২ মাসও লাগতে পারে।

ইন্টারভিউ শেষে ভিসা অনুমোদন হলে, পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগানো এবং প্রেরণ করতে সাধারণত ৩ হেকে ৪ কার্যদিবস সময় লাগে। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় সাধারণত ১থেকে ৩ মাসের বেশি সময় নিতে পারে।

আমেরিকায়-সব-কাজের-সুযোগ-সুবিধা-কেমন

আমেরিকায় সব কাজের সুযোগ সুবিধা কেমন

মানুষগুলোতে এক দেশ থেকে আরও বেশি চাই উন্নত জীবন ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা বিধান এবং কাজের সব সুযোগ সুবিধা লাভের জন্যজন্য। যে দেশে বেশি সব ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় মানুষের দেশেই যে থাকে। আমি দিকে এমন একটি দেশ যেখানে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। তাই বেশিরভাগ লোকজন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায়। কেউ যায় পড়াশোনার জন্য , কেউ চাই কাজের জন্য কেউবা বড় ধরনের চাকরির জন্য। আবার অনেকেই আছেন যারা ঘোরাফেরার জন্য গিয়ে থাকেন।

আমেরিকায় কাজের সুযোগ সাধারণভাবে অন্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি এবং সুবিধাজনক। বিশেষ করে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফাইন্যান্স খাতে বেতন তুলনামূলকভাবে উচ্চ। অধিকাংশ কোম্পানি স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন/রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান, ছুটি ও ছুটি ভাতা, এমনকি ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক শিডিউল বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধাও দেয়। কাজের পরিবেশ সাধারণত নিরাপদ এবং নিয়মকানুন মেনে পরিচালিত হয়, যেখানে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নীতি মানা হয়।

সেখানে কর্মজীবনের উন্নয়নের সুযোগও অনেক; প্রশিক্ষণ ও প্রমোশন সুবিধা রয়েছে এবং নতুন স্কিল শিখে পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য শক্তিশালী আইন রয়েছে, যেমন ওভারটাইম পে, বৈষম্য ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষা। সংক্ষেপে, আমেরিকায় কাজের সুযোগ, নিরাপত্তা এবং সুবিধা অনেক বেশি এবং পেশাদার উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার প্রধান কারণ হলো উচ্চশিক্ষা, চাকরি, পর্যটন এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা। শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে উন্নত শিক্ষার সুযোগ খুঁজে, চাকরিপ্রার্থীরা ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে পেশাগত উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে, আর পর্যটকরা দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণের আনন্দের জন্য যায়।

আমেরিকায় যাওয়ার সুবিধা বা সুযোগের মধ্যে রয়েছে উচ্চ বেতন, প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার গ্রোথ, স্বাস্থ্য বীমা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং বিভিন্ন প্রফেশনাল সুবিধা। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সুবিধা এবং স্কলারশিপ পেতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য বড় প্লাস।

তাই বলা যায় যে বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য সুযোগ সুবিধা ভোগের জন্য গিয়ে থাকে। তবে যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ভিসা পাসপোর্ট ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। যে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url