বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে কি আপনি বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু এই সম্পর্কে আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কথাও সম্পূর্ণভাবে গাইডলাইন পাচ্ছেন না। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে আজকাল অনেক লোকজন আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছে। কেউ কাজের জন্য কেউ
পড়াশোনার জন্য। অনেকেই জানে না কিভাবে বা কোন উপায়ে সহজে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা
যাওয়া যাই। আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার কারন কি?
- বাংলাদেশ থেকে কারা বেশি আমেরিকায় যায়
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে স্টুডেন্ট ভিসার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন
- টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
- বিজনেস ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া ভিসা পেতে কত সময় লাগে
- আমেরিকায় সব কাজের সুযোগ সুবিধা কেমন
- শেষ কথাঃবাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণরূপে আলোচনা করবো। কেন বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ আপনাকে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং এর সম্পূর্ণ খরচ করতে কেমন খরচ হয় তার সম্পর্কে আপনাদের জন্য আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো মতো করতে পারেন তাহলে আপনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার কারন কি?
বাংলাদেশ থেকে কারা বেশি আমেরিকা যায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেহেতু অনেক দূরত্বের পথ সেহেতু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে অনেক সময় লাগবে । অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায় এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা। তাদের জন্য এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা হলো।
আরো পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে মোট সময় মূলত ফ্লাইট রুট, ট্রানজিট এবং এয়ারলাইনের ওপর নির্ভর করে। সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সাধারণত এক বা একাধিক ট্রানজিট নিয়ে যেতে হয়। এই কারণে ভ্রমণের সময় কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।একটি সাধারণ এক-স্টপ বা দুই-স্টপ ফ্লাইটে বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পৌঁছাতে প্রায় ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে ট্রানজিটে অপেক্ষার সময় বেশি হলে মোট যাত্রার সময় ৩০ ঘণ্টা বা তারও বেশি হতে পারে।
যদি ট্রানজিট কম হয় এবং ফ্লাইট শিডিউল ভালো হয়, তাহলে তুলনামূলক কম সময়ে পৌঁছানো সম্ভব। তাই টিকিট বুক করার সময় ফ্লাইটের মোট সময়, ট্রানজিটের দেশ ও অপেক্ষার সময় ভালোভাবে দেখে নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে বেশ সময় লেগে থাকে। তাই আপনারা এই বিষয়েই ভয় না পেয়ে যদি সঠিক ট্রানজিট ঠিক করতে পারেন তাহলে আপনারা সঠিক সময় সেখানে পৌঁছে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে স্টুডেন্ট ভিসার উপায়
- SEVP অনুমোদিত কলেজ বা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে হবে।
- ভর্তি হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান থেকে ১ থেকে ২০ পর্যন্ত ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
- পরিশোধ করতে হবে
- পড়াশুনার সব খরচ বহনের জন্য আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ দেখাতে হবে
- প্রয়োজন অনুযায়ী ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণ যেমন ILETS ইত্যাদির প্রমাণ দেখাতে হবে
- আগের সব শিক্ষাগত সার্টিফিকেট থাকতে হবে
- ইন্টারভিউতে প্রমাণ করতে হবে যে পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশ ফেডার ইচ্ছা আছে
বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন
ওয়ার্ক ভিসার জন্য সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে সেগুলো হলো বৈধ পাসপোর্ট, অনুমোদিত পিটিশন অনলাইন ফরম, ভিসা আবেদন ফি রসিদ, শিক্ষাগত সনদপত্র, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা মেডিক্যাল রিপোর্ট। কোন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা কাগজপত্রে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।
সবশেষে আবেদনকারীকে U.S. Embassy, Dhaka তে ভিসা ইন্টারভিউ দিতে হয়। ইন্টারভিউতে আপনার চাকরির ধরন, দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সব তথ্য সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য হলে ওয়ার্ক ভিসা অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা করতে সাধারণত যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো পয়েন্ট আকারে নিচে দেওয়া হলোঃ
- Sponsor Employer যে কোম্পানি ভিসা স্পনসর করবে
- নিয়োগকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত
- কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট
- DS-160 অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম
- ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রসিদ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিক্যাল রিপোর্ট
- ভিসা ইন্টারভিউ
টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কারণ
- বৈধ পাসপোর্টঃ যাত্রার সময় অন্তত ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
- DS-160 ফরম পূরণঃ অনলাইন আবেদন ফরম, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মূল।
- ভিসা আবেদনঃ ফি পরিশোধের রসিদ আবেদনটি বৈধ করার জন্য প্রয়োজন।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি ফর্ম ও ইন্টারভিউতে ব্যবহার হবে।
- ভ্রমণের কারণ বা পরিকল্পনার প্রমাণ ঃ যেমন হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট, ট্রাভেল আইটিনেরারি।
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ ঃব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পনসর লেটার; দেখাতে হবে ভ্রমণের খরচ বহন করতে পারবে।
- পেশা বা চাকরির প্রমাণ ঃদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা আছে প্রমাণ করার জন্য।
- পরিবার বা দেশে বন্ধনের প্রমাণ ঃ পরিবার, সম্পত্তি বা চাকরি; দেশে ফেরার নিশ্চয়তা দেখায়।
- ভিসা ইন্টারভিউ ঃ U.S. Embassy, Dhaka-তে সাক্ষাৎকার; উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফি: ২০,০০০ টাকা
- ফ্লাইট টিকিট: ঢাকা থেকে আমেরিকা ১,২০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা
- হোটেল ও থাকা খাওয়া: প্রায় ২,১০,০০০–৪,২০,০০০ টাকা
- ভ্রমণ ও দর্শনীয় স্থান খরচ:প্রায় ৩০,০০০–৭৫,০০০ টাকা
- বিমা বা অন্যান্য জরুরি খরচ: প্রায় ৭,০০০–১৫,০০০ টাকা
বিজনেস ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া ভিসা পেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ভিসা পেতে সময় মূলত ভিসার ধরন, আবেদন প্রক্রিয়া এবং ইন্টারভিউ স্লটের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, DS-160 ফরম পূরণ এবং আবেদন ফি পরিশোধের পর ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়, যা কখনও ১থেকে২ সপ্তাহ, আবার ব্যস্ত সময়ে ১থেকে ২ মাসও লাগতে পারে।
ইন্টারভিউ শেষে ভিসা অনুমোদন হলে, পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগানো এবং প্রেরণ করতে সাধারণত ৩ হেকে ৪ কার্যদিবস সময় লাগে। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় সাধারণত ১থেকে ৩ মাসের বেশি সময় নিতে পারে।
আমেরিকায় সব কাজের সুযোগ সুবিধা কেমন
আমেরিকায় কাজের সুযোগ সাধারণভাবে অন্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি এবং সুবিধাজনক। বিশেষ করে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফাইন্যান্স খাতে বেতন তুলনামূলকভাবে উচ্চ। অধিকাংশ কোম্পানি স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন/রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান, ছুটি ও ছুটি ভাতা, এমনকি ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক শিডিউল বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধাও দেয়। কাজের পরিবেশ সাধারণত নিরাপদ এবং নিয়মকানুন মেনে পরিচালিত হয়, যেখানে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নীতি মানা হয়।
সেখানে কর্মজীবনের উন্নয়নের সুযোগও অনেক; প্রশিক্ষণ ও প্রমোশন সুবিধা রয়েছে এবং নতুন স্কিল শিখে পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য শক্তিশালী আইন রয়েছে, যেমন ওভারটাইম পে, বৈষম্য ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষা। সংক্ষেপে, আমেরিকায় কাজের সুযোগ, নিরাপত্তা এবং সুবিধা অনেক বেশি এবং পেশাদার উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার প্রধান কারণ হলো উচ্চশিক্ষা, চাকরি, পর্যটন এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা। শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে উন্নত শিক্ষার সুযোগ খুঁজে, চাকরিপ্রার্থীরা ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে পেশাগত উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে, আর পর্যটকরা দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণের আনন্দের জন্য যায়।
আমেরিকায় যাওয়ার সুবিধা বা সুযোগের মধ্যে রয়েছে উচ্চ বেতন, প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার গ্রোথ, স্বাস্থ্য বীমা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং বিভিন্ন প্রফেশনাল সুবিধা। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সুবিধা এবং স্কলারশিপ পেতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য বড় প্লাস।
তাই বলা যায় যে বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য সুযোগ সুবিধা ভোগের জন্য গিয়ে থাকে। তবে যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ভিসা পাসপোর্ট ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। যে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে থাকবেন।
.webp)
.webp)
.webp)
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url