মাস্টার কার্ড কি - মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো

যদি আপনি প্রশ্ন করেন মাস্টার কার্ড কি তাহলে আমি আপনাকে বলতে পারি মাস্টার কার্ড হলো একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি সারা বিশ্বে যে কোন জিনিস কিনতে বা পেমেন্ট করতে পারবেন।
মাস্টার কার্ড কি
মাস্টার কার্ড হলো সারা বিশ্বব্যাপী একটি বহুল প্রচলিত জনপ্রিয় কার্ড। মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবেন, মাস্টার কার্ড কিভাবে কাজ করে, মাস্টার কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো। তাই মাস্টারকার্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মাস্টার কার্ড কি - মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো

মাস্টার কার্ড কি

আমাদের মধ্যে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন মাস্টার কার্ড কি। মাস্টার কার্ড হলেও এমন একটি কার্ড যে কার্ড ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন দেশে আপনি যে কোন জিনিস খুব সহজেই কেনাকাটা ও পেমেন্ট করতে পারবেন। অর্থাৎ আমাদের দেশে আমরা যেভাবে এটিএম কার্ড ব্যবহার করি বিশ্বের সকল দেশে মাস্টার কার্ড সেভাবে ব্যবহার করা যায়। চলুন তাহলে মাস্টার কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যাংক মাস্টার কার্ড প্রদান করে থাকে। এটি সাধারণত একটি প্রদানকারী কোম্পানি Mustercard Inc কোম্পানির মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রদান করা হয়। মাস্টার কার্ডগুলোতে সাধারণত Mustercard Inc এর লোগো থেকে থাকে। আপনারা যদি কেউ মাস্টার কার্ড গ্রহণ করেন তাহলে আপনারা সেই লোগো দেখতে পাবেন।

বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যাংক ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা মাস্টার কার্ড প্রদান করে থাকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমেরিকান এক্সপ্রেস, ভিসা ও ডিসকভার নামক প্রতিষ্ঠান। এরা সাধারণত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপে কাজ করে থাকেন। তাই আপনি যদি একজন মাস্টার কার্ড গ্রহণ করে হন তাহলে এই কার্ড দিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশে আপনি কোন কিছু কিনে পেমেন্ট করতে পারবেন।

আমাদের দেশে সাধারণত তিন ধরনের মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়।
  • প্রিপেইড মাস্টার কার্ড
  • ক্রেডিট মাস্টার কার্ড
  • ডেবিট মাস্টার কার্ড
প্রিপেইড মাস্টার কার্ডঃ এই কার্ডের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এই কার্ডে আপনাকে আগে থেকে টাকা জমা রাখতে হবে। আমরা মোবাইল ফোনে যেমন আগে থেকে রিচার্জ করে থাকি তেমনি এই কার্ডেও আগে থেকে টাকা রিচার্জ করে রাখতে হবে। এই কার্ড যে কোন ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারে। এই কার্ড গ্রহণ করার জন্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

ক্রেডিট মাস্টার কার্ডঃ এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি আগাম ভাবে লোন নিতে পারবেন। এ লোন বাবদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার নিকট বেশ পরিমাণ টাকা চার্জ করবেন। তার মানে হল আপনি কোথাও কোন কিছু কিনতে গেছেন, কিন্তু আপনার কার্ডে টাকা নাই, আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে এই টাকা আপনাকে চার্জসহ জমা দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট লিমিট থাকবে একেক জনের একেক ধরনের লিমিট থাকতে পারে।

ডেবিট মাস্টার কার্ডঃ উপরের দুটি কার্ডের মধ্যে এই কার্ড হচ্ছে মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড মানের একটি কার্ড। অর্থাৎ এই কার্ড দিয়ে আপনি অগ্রিম লোন নিতে পারবেন না বা অগ্রিম কোন পেমেন্ট করতে পারবেন না। এই কার্ড দিয়ে আপনার সামান্য কিছু টাকা অগ্রিম পেমেন্ট করতে পারবেন। আপনি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা পরিমান টাকা এই কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন।

কিছুদিন আগে মাত্র কয়েকটি ব্যাংক মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকলেও বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ব্যাংক মাস্টার কার্ড দিচ্ছেন। কারণ আপনি বিদেশে গেলে এই কার্ডটি সবচেয়ে বেশি আপনার কাজে লাগবে। সারা বিশ্বের আপনি যেখানে যান না কেন মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে আপনি যে কোন জিনিস কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মাস্টার কার্ডে টাকা থেকে ডলারে ট্রান্সফার করে নিতে হবে।

মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো

আমাদের মধ্যে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো। অর্থাৎ মাস্টার কার্ড কিভাবে তৈরি করতে হবে। বর্তমানে মাস্টার কার্ডের জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে মাস্টার কার্ড পাওয়া খুবই সহজ একটা বিষয় নয়। মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু নিয়ম মেনে এবং তথ্য দিয়ে আপনাকে মাস্টার কার্ড নিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সে নিয়ম এবং তথ্য গুলো কি কি।

মাস্টার কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম ও তথ্যঃ
আপনি যদি একজন বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এই তথ্যগুলো মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে। যে তথ্যগুলো ছাড়া আপনাকে কোনভাবেই মাস্টার কার্ড দেবে না । চলুন জেনে নেই কি সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
  1. আপনার অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  2. যদি আপনি আপনার কার্ডে ডলার লেনদেন করতে চান তাহলে পাসপোর্ট থাকা লাগবে।
  3. আপনার একটি টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি লাগবে।
  4. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
  5. ব্যাংক একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে
  6. আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কপি লাগবে
  7. আপনি যদি কৃষক হন তাহলে কোন সমস্যা নাই, আর যদি কোন পেশাজীবী হন তাহলে সেই কাজের ডকুমেন্ট লাগবে।
  8. অবশ্যই আপনার ভ্যালিড মোবাইল নাম্বার লাগবে
  9. আপনার একটি ভ্যালিড ইমেইল এড্রেস থাকা লাগবে
মাস্টার কার্ড কিভাবে কাজ করে

মাস্টার কার্ড কিভাবে কাজ করে

একটি মাস্টার কার্ড নেওয়ার পরে সেই মাস্টার কার্ড কিভাবে কাজ করে। এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। শুধুমাত্র শখ করে মাস্টার কার্ড বানালেন কিন্তু জানলেন না সেটা কিভাবে কাজ করে, তাহলে আপনার মাস্টার কার্ড বানানোটাই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক হয়ে দাঁড়াবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাস্টার কার্ড কিভাবে কাজ করে এবং আপনার কিভাবে কাজে লাগবে।

মাস্টার কার্ড হলেও আন্তর্জাতিক মানের একটি এটিএম কার্ড। আপনি বিশেষ কোনো কাজে দেশের বাইরে চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে আপনার হোটেলে অথবা অন্য কোন জায়গায় পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু আপনি ডলার সঙ্গে করে নিয়ে যাননি সে ক্ষেত্রে আপনার উত্তম পদ্ধতি হলো মাস্টার কার্ড। আপনি সারা বিশ্বের যে কোন জায়গায় মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে যে কোন পেমেন্ট করতে পারবেন।

এছাড়া বর্তমানে আমাদের দেশের ফেসবুক এবং ইউটিউবে ব্যাপক পোস্ট বুষ্ট করতে হয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছেন যারা ভিডিও তৈরি করে তাদের ভিডিও বা পোস্ট বুষ্ট করতে চান। আর বুস্ট করার ক্ষেত্রে মাস্টার কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনার বিজ্ঞাপন অথবা আপনার পোস্ট অথবা আপনার ভিডিও পোস্ট করার জন্য মাস্টার কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যায়।

মাস্টার কার্ডের সুবিধা

মাস্টার কার্ড হল এমন একটি কার্ড যে কার্ড দিয়ে আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন খুব সহজে। সেটা আমাদের দেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে আপনি এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। মাস্টার কার্ড দিয়ে আসলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • আপনি তাৎক্ষণিক যে কোন পেমেন্ট করতে পারবেন।
  • আপনাকে অতিরিক্ত ডলার বা টাকা বহন করতে হবে না।
  • আপনি কার্ডের মাধ্যমে যে কোন সময় টাকা ধার নিতে পারবেন।
  • আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেকোনো জিনিস কিনে শুধুমাত্র কার্ড ঘষলে আপনার পেমেন্ট হয়ে যাবে।
  • মাস্টার কার্ড খুবই ছোট তাই পকেটের যেখানে সেখানে রাখা যায়।
  • আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • আপনার টাকাকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ডলার এ রূপান্তর করতে পারবেন।
  • মাস্টার কার্ড ব্যবহার করার কারণে আপনার ঝুঁকি থাকবে না।

মাস্টার কার্ডের অসুবিধা

আমরা শুধুমাত্র মাস্টার কার্ডের সুবিধা জানলাম কিন্তু সেই সঙ্গে মাস্টার কার্ডের অসুবিধা জানা দরকার। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসই যেমন সুবিধা আছে তেমন কিছু অসুবিধা আছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাস্টার কার্ডের সুবিধার পাশাপাশি কি কি অসুবিধা আছে।
  • মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেকগুলো ডকুমেন্ট প্রেজেন্ট করতে হবে।
  • অনেক জায়গায় ক্যাশ লেনদেন করতে হয় সেখানে মাস্টার কার্ড কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • ছোটখাটো পেমেন্টের জন্য মাস্টার কার্ড বেশ বিরক্তিকর।
  • কোন কারনে মাস্টার কার্ড হারিয়ে গেলেন নতুন করে মাস্টার কার্ড পাওয়া খুবই কষ্টকর।
  • আপনার কার্ডের পিন ভুলে গেলে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয় না।
  • যে কোনো কারণে আপনার মাস্টার কার্ডের পিন হ্যাক হতে পারে।
  • সব সময় সব জায়গায় মাস্টার কার্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
মাস্টার কার্ড কিভাবে পাওয়া যায়

মাস্টার কার্ড কিভাবে পাওয়া যায়

অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখান থেকে সরাসরি ব্যাংকে বা বিকাশে টাকা ঢোকে না। সে ক্ষেত্রে তখন মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে কিভাবে মাস্টার কার্ড পাবেন। যদি এই বিষয়ে আপনার সঠিক তথ্য না জানা থাকে তাহলে আপনার জন্য মাস্টার কার্ড পাওয়া খুবই কষ্টকর। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সহজেই মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়।

আমাদের দেশে সাধারণত তিন ধরনের মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়। ১. প্রিপেইড মাস্টার কার্ড ২. ক্রেডিট মাস্টার কার্ড ৩. ডেবিট মাস্টার কার্ড। এখানে শুধুমাত্র প্রিপেইড মাস্টারকার্ডের জন্য ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন হয় না। বাকি অন্যান্য মাস্টার কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাস্টার কার্ডের জন্য কি কি ডকুমেন্টস বা তথ্য লাগবে।
  • আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি।
  • আপনার টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
  • যদি আপনি আন্তর্জাতিক মুদ্রায় লেনদেন করতে চান তাহলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  • যদি আপনি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড না নেন তাহলে ব্যাংকের যাবতীয় ডকুমেন্ট লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
  • আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি।
  • সব সময় একটিভ থাকে এমন একটি ফোন নাম্বার
  • আপনার নিজস্ব একটি জিমেইল নাম্বার
  • আপনার ব্যাংক একাউন্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস হতে হবে
  • একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা থাকতে হবে
  • উপরের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি দ্রুত মাস্টার কার্ড পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশে মাস্টার কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক কোনটি

আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে বাংলাদেশে মাস্টার কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক কোনটি। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম এ বি ব্যাংক মাস্টার কার্ড প্রদান করা শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যারা বিদেশে লেনদেন করেন তাদের জন্য এটি শুরু করেছিলেন। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে এবি ব্যাংক ছাড়াও অনেক ব্যাংক এখন মাস্টার কার্ড প্রদান করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক মাস্টার কার্ড প্রদান করেন।
  1. এবি ব্যাংক
  2. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
  3. ইসলামী ব্যাংক (ডুয়েল কারেন্সি কার্ড)
  4. ব্যাংক এশিয়া
  5. ইউসিবি ব্যাংক
এছাড়াও বাংলাদেশের আরো অনেক ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়।

ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ড এর পার্থক্য

আমরা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে যেসব কার্ড গ্রহণ করে সেগুলো ভিসা কার্ড। কিন্তু বিভিন্ন সময় মাস্টার কার্ডের কথা শোনা যায়। আসলে ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য কি। ভিসা কার্ড দিয়ে আপনি বাংলাদেশের যে কোন এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং দেশীয়ভাবে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে আপনি ভিসা কার্ড ব্যবহার করে কোন প্রকার লেনদেন করতে পারবেন না।

আর মাস্টার কার্ড হল এমন একটা কার্ড যেটা ব্যবহার করে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের যে কোন দেশে আপনি কেনাকাটা সহ যেকোনো পেমেন্ট করতে পারবেন। অর্থাৎ মাস্টার কার্ডের মধ্যে যে টাকা থাকে আপনি সেই টাকাকে দেশে ব্যবহারের সময় টাকা হিসেবে এবং বিদেশে ব্যবহারের সময় ডলার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ বিদেশে গিয়ে আপনি কোন লেনদেন বা পেমেন্ট করার জন্য মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

মাস্টার কার্ড কি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

মাস্টার কার্ডের কাজ কি?
মাস্টার কার্ডের মূল কাজ হল আন্তর্জাতিক মানের কোন লেনদেন বা পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে এই কার্ডের ব্যবহার করা হয়। এটি অনেক সময় ব্যাংক থেকে প্রদান করা হয় আবার ব্যাংক ছাড়াও মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়। সাধারণত প্রিপেইড মাস্টার কার্ড গুলো ব্যাংক ছাড়াও পাওয়া যায়। মাস্টার কার্ড আন্তর্জাতিক লেনদেনের একটি মাধ্যম। আপনি মাস্টার ব্যবহার করে সারা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় পেমেন্ট করতে পারবেন। কারণ এসব কার্ডের সাথে সারা বিশ্বের সকল ব্যাংকের একটা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং সিস্টেম চালু আছে।

মাস্টার কার্ডের সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়?
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে একটি মাস্টার কার্ডে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা যায়। তবে যদি আপনার ডেবিড কার্ড হয় তাহলে আপনি এই টাকা রাখার পাশাপাশি আবার লোন হিসেবে টাকা পেতে পারেন। আর যদি আপনার প্রিপেইড মাস্টার কার্ড হয় তাহলে আপনি যেটুকু টাকা রিচার্জ করবেন সেই পরিমাণ টাকায় আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেটা ১০ লাখ টাকার বেশি নয়।

ভিসা না মাস্টার কার্ড কোনটি ভালো?
এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দেশে ব্যবহার করবেন। যদি আপনি বাংলাদেশে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য ভিসা কার্ড সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে করে আপনার খরচ কম। আর যদি আপনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য মাস্টার কার্ড ভালো। কারণ ভিসা কার্ড দিয়ে আপনি আন্তর্জাতিক কোন লেনদেন করতে পারবেন না।

মাস্টার কার্ড কয়টি দেশে ব্যবহার করা যায়?
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই মাস্টার কার্ড ব্যবহার করা যায়। তবে যদি আপনি সংখ্যা হিসেবে জানতে চান তাহলে বলা যাই ২১০ থেকে ২২০ টি দেশে ব্যবহার করা যায়। আপনি একটা কথা মনে রাখবেন আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে পেমেন্ট করা যায় সেখানেই মাস্টার কার্ড ব্যবহার করা যায়।
আপনি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট অথবা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

মাস্টার কার্ড খরচ সীমা কত?
প্রত্যেকটি কার্ডের একটি নির্দিষ্ট লিমিট বা সীমা আছে। তেমনি মাস্টার কার্ডেরও একটি লিমিট বা সীমা আছে। আপনার মাস্টার কার্ড দিয়ে প্রতিদিন নগদ ৫১৫ ডলার উত্তোলন করতে পারবেন। আবার যদি আপনি কোন কিছু কিনে পেমেন্ট করতে চান তাহলে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫০০ ডলার পর্যন্ত করতে পারবেন। এর বেশি আপনি কোনভাবেই কোন জায়গায় টাকা উত্তোলন বা পেমেন্ট করতে পারবেন না।

শেষ কথাঃ মাস্টার কার্ড কি - মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন মাস্টার কার্ড কি। অর্থাৎ মাস্টার কার্ড হলেও আন্তর্জাতিক মানসম্পূর্ন একটি কার্ড, যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রায় লেনদেন করা যায়। অথবা আপনি আমাদের দেশসহ বিশ্বের যে কোন দেশে এই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা সহ যেকোনো ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন। মাস্টার কার্ড আমাদের দেশের ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রদান করে থাকে।

আপনি যদি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড নিতে চান তাহলে আপনার কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে না। আর যদি ডেবিট অথবা ক্রেডিট মাস্টার কার্ড নিতে চান তাহলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। মাস্টার কার্ড বানানোর জন্য আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য সহ বেশ কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়। যেমন ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ড্রাইভার লাইসেন্স এর ফটোকপি।

পাসপোর্ট এর ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, টিন সার্টিফিকেট, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, আপনি যদি কোন চাকরিজীবী হন তাহলে সেই চাকরির কাগজপত্র এরকম অনেক তথ্য প্রয়োজন হয়। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারলেন মাস্টার কার্ডের সুবিধা কি এবং অসুবিধা কি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট নিয়মিত এই আর্টিকেলে পাবলিশ করা হয়। তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url