ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জেনে নিন
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে কিভাবে ফেসবুকে কাজ
করলে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
বিনোদনমূলক পোস্ট পাবলিশ করাঃ বাংলাদেশের মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদন নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রবেশ করে। মানুষ যখন কাজ করতে করতে অথবা অন্য কোন কারণে বিরক্ত হয়ে যায় ঠিক সে সময় সামান্য একটু বিনোদন নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রবেশ করে। তাই আপনি যদি বিনোদনমূলক পোস্ট সুন্দরভাবে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে তার দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরি করাঃ আমাদের দেশের মানুষ ফেসবুকে প্রবেশ করার পরে যদি আকর্ষণীয় শিরোনাম দেখে তাহলে সেই পোস্টে আগে ক্লিক করে বিস্তারিত জানার জন্য। তাই আপনি যদি একটি ভালো মানের পোস্ট পাবলিশ করার আগে শিরোনাম আকর্ষণীয় করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। আর এভাবে অতি অল্প সময়ে আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরি করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
ছোট এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করাঃ বর্তমানে আমাদের লম্বা কোন ভিডিও বা পোস্ট দেখা বা পড়ার মত ধৈর্য খুবই কম। সব সময় আমরা চাই ছোট পোস্ট বা ভিডিওর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পাওয়া বা বিনোদন পাওয়া। তাই বড় ধরনের পোস্ট বা ভিডিও তৈরি না করে যদি ছোট আকারে পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করা যায় এবং সেটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় করা যায় তাহলে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
আবেগ ঘন পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করাঃ বর্তমান সময়ে ভাইরাল হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে আবেগ ঘন পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করা। বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের আবেগঘন পোস্ট দেখতে বেশ পছন্দ করে। খুব সহজেই এই ধরনের পোস্ট করে মানুষের আবেগ কে আকর্ষণ করে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
হ্যাশট্যাগ কাজে লাগিয়ে ভাইরাল হওয়াঃ ফেসবুকে সাধারণত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে সারা বিশ্বে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন ঘটনা ঘটে যায় তখন সে বিষয়ে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার সবচেয়ে প্রথম ও প্রধান যে শর্ত তা হলো ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আপনি একদিন অনেকগুলো পোস্ট করলেন আবার মাঝখানে কয়েকদিন গ্যাপ দিলেন পরে আবার পোস্ট করলেন তাহলে আপনি কখনোই ভাইরাল হতে পারবেন না। আপনাকে নিয়মিত ও নির্ধারিত সময়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
নির্ধারিত সময়ে পোস্ট পাবলিশ করাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। কারণ আপনি যদি আজ এক সময়ে পোস্ট পাবলিশ করেন আবার আগামীকাল অন্য সময় পোস্ট পাবলিশ করেন তাহলে আপনার ভিউয়াররা আপনার ভিডিওর প্রতি আগ্রহ হারাবে। আর যদি আপনি প্রতিদিন সময়মতো পোস্ট পাবলিশ করেন তাহলে আপনার ভিউয়াররা আপনার পোস্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকবে। আর এভাবেই ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরাঃ ফেসবুকে বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া যায়। ধরুন আপনি কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করবেন। যদি আপনার সেই বিষয়ে আগে থেকেই কম বেশি অভিজ্ঞতা থাকে সেটা আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেন তাহলে খুব দ্রুত সেই পোস্ট বা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার সঠিক সময় হচ্ছে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে বেশিরভাগ মানুষ সন্ধ্যার পরে ফ্রি হয়। আর সেই সময়টুকু মানুষ সবচেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই যদি আপনি সন্ধ্যার সময় আপনার ভিডিও পাবলিশ করেন তাহলে খুবই দ্রুত সেই ভিডিওগুলো মানুষের নিকট পৌঁছে যায়।
যার কারণে এই সময় ভিডিও পাবলিশ করলে মানুষ সবচেয়ে বেশি দেখে সেই ভিডিওগুলো। আর আপনি ফেসবুকে এনালাইসিস থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন কোন সময় আপনার ভিডিও গুলো বেশি ভিউ হয়। আপনি ওই সময়টুকু নির্ধারণ করে নিয়ে প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করবেন। এভাবে প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করলে খুব দ্রুত সেই ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করাঃ ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থামনেল। কারণ আপনার ভিডিওর থামনেল যত ভালো হবে ভিডিও তত দ্রুত ভাইরাল হবে। অর্থাৎ আপনি যদি একটু সুন্দর ও আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করতে পারেন তাহলে তাড়াতাড়ি আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করাঃ ভিডিও ভাইরাল করার অন্যতম দ্বিতীয় মাধ্যম হল আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করা। আপনার টাইটেল দেখে মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে। তাই ভিডিওতে ভাইরাল করতে হলে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করতে হবে।
তাই আমরা যদি ফেসবুকে পোস্ট সন্ধ্যার পরে বিশেষ করে রাত আটটার পরে করে থাকি তাহলে দ্রুত রিচ ও এনগেজমেন্ট হয়। কারণ আমাদের দেশের মানুষ সারাদিন কাজকর্ম ছেড়ে ঠিক সন্ধার পরে মোবাইল নিয়ে বসে পড়ে বিনোদন নেওয়ার জন্য বা বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখার জন্য। এছাড়াও আপনি ফেসবুকের অডিয়েন্স অপশনে গেলে আপনি দেখতে পাবেন কোন সময় আপনার পোস্ট বা ভিডিও গুলো বেশি ভিউ হয়। ঠিক ওই সময় নিয়মিত যেকোনো পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করলে রিচ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমান সময়ে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত অথবা কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। এসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যায়। আপনি ফেসবুক ব্যবহার করলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের পোস্টে বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। এই জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে আপনার ভিডিওটি সবচেয়ে দ্রুত ভাইরাল হবে সেই হ্যাশ ট্যাগটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
উত্তরঃ ফেসবুকের কোন ভিডিও ১০০০ ভিউ হলে সেটা ভাইরাল হয় না। বর্তমানে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়া মানে কয়েক মিলিয়ন ভিউ হওয়া।
প্রশ্নঃ ফেসবুক মনিটাইজ করতে কত ফলোয়ার লাগে?
উত্তরঃ ফেসবুক মনিটাইজ করতে কমপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার লাগে, আর যদি আপনি ভিডিও কনটেন্ট মনিটাইজ করতে চান তাহলে ৬০ দিনে ৬ লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম লাগবে। তাহলে ফেসবুকে মনিটাইজ এর আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে ১০ হাজার ভিউ সমান কত টাকা?
উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রতি এক হাজার ভিউ সমান ০.১ সেন্ট প্রদান করা হয় তার মানে প্রতি ১০০০০ সমান সর্বোচ্চ ৮-১০ সেন্ট প্রদান করা হয়।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে ৫০০ ফলোয়ার থাকলে কি পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফেসবুকে ৫০০ ফলোয়ার হলে স্টার নামক একটি অপশন পাওয়া যায়। যেটি ফেসবুক মনিটাইজ এর একটি অংশ। তবে এখানে বিজ্ঞাপন আসবে না আপনার কন্টেন্ট দেখে যদি কেউ স্টার প্রদান করে সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হবে।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে কত ডলার হলে টাকা তোলা যায়?
উত্তরঃ ফেসবুকে টাকা তোলার জন্য কমপক্ষে আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার হতে হবে। টাকা তোলার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ট্যাক্স ইনফরমেশন যোগ করতে হবে।সেই সাথে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট ও যোগ করতে হবে।
বর্তমানে আমাদের দেশে একবার ভাইরাল হতে পারলেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আর আপনি কিভাবে ফেসবুকে ভাইরাল হবেন সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য আপনাকে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। যেখানে ক্যামেরা সাউন্ড সহ সবকিছু উন্নতমানের হতে হবে। ট্রেনডিং টপিক এর উপর ভিডিও তৈরি করে দ্রুত ভাইরাল হতে পারেন।
বর্তমানে সারা বিশ্ব থেকে ফেসবুকে প্রতিদিন লাখ লাখ পোস্ট পাবলিশ করা হয়। কিন্তু
দেখা যায় বেশিরভাগ পোস্ট ভাইরাল হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ জানে না কিভাবে
ফেসবুকে ভাইরাল হতে হয়। ফেসবুকে কোন কোন টেকনিক অবলম্বন করলে সহজে ভাইরাল হওয়া
যায় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জেনে নিন
- ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জেনে নিন
- ফেসবুকে রিলস ভিডিও ছাড়ার নিয়ম
- ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার সঠিক সময়
- ভাইরাল স্ট্যাটাস ক্যাপশন
- ভিডিও ভাইরাল হয় কিভাবে
- ফেসবুকে কখন পোস্ট করলে রিচ বেশি হয়
- ফেসবুক ভাইরাল হ্যাশট্যাগ
- ফেসবুক রিলস কিভাবে ভাইরাল করা যায়
- ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জানুন
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জেনে নিন
বর্তমান যুগে সবাই চায় ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য যার কারণে বেশিরভাগ কন্টেন্ট
ক্রিয়েটররা প্রচুর পরিশ্রম করে প্রতিদিন ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করছেন।
শুধু ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করলেই ভাইরাল হওয়া যায় না এর জন্য বেশ কিছু
টেকনিক জানা থাকা দরকার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার দশটি
অসাধারণ টেকনিক সম্পর্ক।
আরো পড়ুনঃ
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায়
ট্রেন্ডিং টপিক সম্পর্কে পোস্ট করাঃ অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হওয়ার
সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ট্রেন্ডিং টপিক। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং-এ আছে, অথবা কোন বিষয় নিয়ে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেই বিষয় সম্পর্কে সুন্দর করে
সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট তৈরি করে পাবলিশ করার মাধ্যমে খুব সহজেই দ্রুত ভাইরাল
হওয়া যায়।
শিক্ষামূলক পোস্ট পাবলিশ করাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার আরেকটি মাধ্যম
হচ্ছে শিক্ষামূলক পোস্ট পাবলিশ করা। আপনাকে ফেসবুকে এমন এক ধরনের পোস্ট
পাবলিশ করতে হবে যা সারা জীবন মানুষ দেখবে এবং সেখান থেকে শিখবে। এ ধরনের
কন্টেন্ট দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায় এবং মানুষজন এসব কনটেন্ট বারবার
দেখে যার কারণে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
বিনোদনমূলক পোস্ট পাবলিশ করাঃ বাংলাদেশের মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদন নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রবেশ করে। মানুষ যখন কাজ করতে করতে অথবা অন্য কোন কারণে বিরক্ত হয়ে যায় ঠিক সে সময় সামান্য একটু বিনোদন নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রবেশ করে। তাই আপনি যদি বিনোদনমূলক পোস্ট সুন্দরভাবে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে তার দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরি করাঃ আমাদের দেশের মানুষ ফেসবুকে প্রবেশ করার পরে যদি আকর্ষণীয় শিরোনাম দেখে তাহলে সেই পোস্টে আগে ক্লিক করে বিস্তারিত জানার জন্য। তাই আপনি যদি একটি ভালো মানের পোস্ট পাবলিশ করার আগে শিরোনাম আকর্ষণীয় করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। আর এভাবে অতি অল্প সময়ে আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরি করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
ছোট এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করাঃ বর্তমানে আমাদের লম্বা কোন ভিডিও বা পোস্ট দেখা বা পড়ার মত ধৈর্য খুবই কম। সব সময় আমরা চাই ছোট পোস্ট বা ভিডিওর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পাওয়া বা বিনোদন পাওয়া। তাই বড় ধরনের পোস্ট বা ভিডিও তৈরি না করে যদি ছোট আকারে পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করা যায় এবং সেটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় করা যায় তাহলে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
আবেগ ঘন পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করাঃ বর্তমান সময়ে ভাইরাল হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে আবেগ ঘন পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করা। বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের আবেগঘন পোস্ট দেখতে বেশ পছন্দ করে। খুব সহজেই এই ধরনের পোস্ট করে মানুষের আবেগ কে আকর্ষণ করে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার শর্ত
হ্যাশট্যাগ কাজে লাগিয়ে ভাইরাল হওয়াঃ ফেসবুকে সাধারণত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে সারা বিশ্বে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন ঘটনা ঘটে যায় তখন সে বিষয়ে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার সবচেয়ে প্রথম ও প্রধান যে শর্ত তা হলো ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আপনি একদিন অনেকগুলো পোস্ট করলেন আবার মাঝখানে কয়েকদিন গ্যাপ দিলেন পরে আবার পোস্ট করলেন তাহলে আপনি কখনোই ভাইরাল হতে পারবেন না। আপনাকে নিয়মিত ও নির্ধারিত সময়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
নির্ধারিত সময়ে পোস্ট পাবলিশ করাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। কারণ আপনি যদি আজ এক সময়ে পোস্ট পাবলিশ করেন আবার আগামীকাল অন্য সময় পোস্ট পাবলিশ করেন তাহলে আপনার ভিউয়াররা আপনার ভিডিওর প্রতি আগ্রহ হারাবে। আর যদি আপনি প্রতিদিন সময়মতো পোস্ট পাবলিশ করেন তাহলে আপনার ভিউয়াররা আপনার পোস্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকবে। আর এভাবেই ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যায়।
বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরাঃ ফেসবুকে বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া যায়। ধরুন আপনি কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করবেন। যদি আপনার সেই বিষয়ে আগে থেকেই কম বেশি অভিজ্ঞতা থাকে সেটা আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেন তাহলে খুব দ্রুত সেই পোস্ট বা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুকে রিলস ভিডিও ছাড়ার নিয়ম
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চায় ফেসবুকে রিলস ভিডিও ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে। কারণ ফেসবুকে সঠিক নিয়মে রিলস না ছাড়লে সেটি কখনো ভাইরাল হয় না। ফেসবুকে রিলস ভিডিও সঠিকভাবে ছাড়ার কারণে কোন কোন ভিডিও খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। তাই আগে আমাদের জানা প্রয়োজন কিভাবে ফেসবুকে রিলস ভিডিও ছাড়তে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।- বর্তমানে ফেসবুকে যে বিষয়টি ট্রেন্ডিং সে বিষয়ে পোর্টেট মুডে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- উক্ত ভিডিওতে একটু ট্রেন্ডিং মিউজিক সেটআপ করতে হবে।
- এরপর দিনের যে কোন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ভিডিও পাবলিশ করা।
- চেষ্টা করতে হবে যে সময় ভিউ বেশি হয় অর্থাৎ বাংলাদেশের সন্ধ্যার সময় বেশি ভিউ হয় এই সময় নিয়ম করে রিলস ভিডিও পাবলিশ করা।
- রিলস ভিডিওর জন্য ট্রেন্ডিং টপিক সেট সেট করা।
- রিলস ভিডিওর জন্য একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা।
- রিলস ভিডিওর একটি সুন্দর ও ভালো মানের ডেসক্রিপশন তৈরি করা।
- রিলস ভিডিওর জন্য সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা।
- আপনার রিলস ভিডিওটি কোন ধরনের তার ওপর নির্ভর করে প্লেলিস্ট ব্যবহার করা।
ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার সঠিক সময়
ফেসবুকে ভিডিও ছাড়া সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করেনা। যার কারণে বেশিরভাগ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এর ভিডিও সহজে ভাইরাল হয় না। যদি তারা সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয় তাহলে দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার সঠিক সময় সম্পর্কে।আরো পড়ুনঃ সফল ক্যারিয়ার গঠনের ২০টি কেীশল
ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার সঠিক সময় হচ্ছে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে বেশিরভাগ মানুষ সন্ধ্যার পরে ফ্রি হয়। আর সেই সময়টুকু মানুষ সবচেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই যদি আপনি সন্ধ্যার সময় আপনার ভিডিও পাবলিশ করেন তাহলে খুবই দ্রুত সেই ভিডিওগুলো মানুষের নিকট পৌঁছে যায়।
যার কারণে এই সময় ভিডিও পাবলিশ করলে মানুষ সবচেয়ে বেশি দেখে সেই ভিডিওগুলো। আর আপনি ফেসবুকে এনালাইসিস থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন কোন সময় আপনার ভিডিও গুলো বেশি ভিউ হয়। আপনি ওই সময়টুকু নির্ধারণ করে নিয়ে প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করবেন। এভাবে প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করলে খুব দ্রুত সেই ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভাইরাল স্ট্যাটাস ক্যাপশন
বর্তমানে আমরা এমন একটা যুগে বসবাস করছি যেখানে মানুষ তারা আবেগের কথা সহ বিভিন্ন কথা ফেসবুকে শেয়ার করে থাকে। মানুষকে হাসানোর জন্য অথবা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস ক্যাপশন দিয়ে থাকি। এসব স্ট্যাটাস ক্যাপশন এর মধ্যে বেশ কিছু স্ট্যাটাস আছে যেগুলো ভাইরাল স্ট্যাটাস। বর্তমানে কোন বিষয়টি বেশ ভাইরাল সে বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস ক্যাপশন লিখে পোস্ট করলেই আপনার পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাবে।ভিডিও ভাইরাল হয় কিভাবে
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের যুবক ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড দিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুকে ছাড়ছেন। এর মধ্যে কিছু কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটর বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন। আবার কিছু কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাফল্য থেকে অনেক দূরে আছেন। এই দুজনের মধ্যে মূল যে বিষয়ে তা হল ভিডিও ভাইরাল। ভিডিও ভাইরাল হলে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিডিও ভাইরাল কিভাবে হয়।আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করাঃ ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থামনেল। কারণ আপনার ভিডিওর থামনেল যত ভালো হবে ভিডিও তত দ্রুত ভাইরাল হবে। অর্থাৎ আপনি যদি একটু সুন্দর ও আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করতে পারেন তাহলে তাড়াতাড়ি আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করাঃ ভিডিও ভাইরাল করার অন্যতম দ্বিতীয় মাধ্যম হল আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করা। আপনার টাইটেল দেখে মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে। তাই ভিডিওতে ভাইরাল করতে হলে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করতে হবে।
- ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে আরও যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা হলো-
- ট্রেন্ডিং টপিক এর উপর ভিডিও তৈরি করা
- আবেগঘন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করা
- ভিডিও সংক্ষিপ্ত ও মূলকথা নিয়ে তৈরি করা
- ভিডিওতে ভালো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা
- ফানি ভিডিও তৈরি করা
- শিক্ষণীয় ভিডিও তৈরি করা
- সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করা
- বিভিন্ন ভ্রমণের দৃশ্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করা
- মজার বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা
- ভিডিও ফেসবুকে ছাড়ার আগে টিক টক-এ সংক্ষিপ্ত আকারে ছেড়ে দেওয়া
ফেসবুকে কখন পোস্ট করলে রিচ বেশি হয়
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন ফেসবুকে কখন পোস্ট করলে রিচ বেশি হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ মানুষ সারাদিন ফেসবুক খুবই কম পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এই সময়ে কর্মজীবী মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকেন আর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকেন। সারাদিনে মানুষ যে কাজেই করুক না কেন সন্ধ্যার পরে বেশিরভাগ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন।তাই আমরা যদি ফেসবুকে পোস্ট সন্ধ্যার পরে বিশেষ করে রাত আটটার পরে করে থাকি তাহলে দ্রুত রিচ ও এনগেজমেন্ট হয়। কারণ আমাদের দেশের মানুষ সারাদিন কাজকর্ম ছেড়ে ঠিক সন্ধার পরে মোবাইল নিয়ে বসে পড়ে বিনোদন নেওয়ার জন্য বা বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখার জন্য। এছাড়াও আপনি ফেসবুকের অডিয়েন্স অপশনে গেলে আপনি দেখতে পাবেন কোন সময় আপনার পোস্ট বা ভিডিও গুলো বেশি ভিউ হয়। ঠিক ওই সময় নিয়মিত যেকোনো পোস্ট বা ভিডিও পাবলিশ করলে রিচ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেসবুক ভাইরাল হ্যাশট্যাগ
আমাদের দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার হয় সেটি হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ছবি বা ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন। তবে বর্তমানে তারা কোন পোস্ট বা ভিডিও ট্রেন্ডিং-এ আছে সে বিষয়টি বেশি নজর রাখে। আর এজন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটরেরা তার পোস্টে বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। তবে হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়টা মনে রাখতে হবে।বর্তমান সময়ে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত অথবা কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। এসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যায়। আপনি ফেসবুক ব্যবহার করলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের পোস্টে বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। এই জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে আপনার ভিডিওটি সবচেয়ে দ্রুত ভাইরাল হবে সেই হ্যাশ ট্যাগটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক রিলস কিভাবে ভাইরাল করা যায়
বর্তমান সময়ে যারা ফেসবুকের রিলস আপলোড করে থাকেন তারা সবাই চায় কিভাবে ফেসবুক রিলস ভাইরাল করা যায়। চাইলেই একজন কনটেন্ট তার তৈরি করা রিলস ভিডিও ভাইরাল করতে পারে না। রিলস ভিডিও ভাইরাল করার জন্য বেশ কিছু টেকনিক ও বিষয় মনে রেখে কাজ করতে হয়। ঠিক কোন কোন কাজ করলে খুব দ্রুত ফেসবুকে রিলস ভাইরাল করা যায় এই বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।- প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর রিলস ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- সেটা হতে পারে ফানি অথবা শিক্ষামূলক অথবা ফ্যাশন অথবা অন্য কিছু।
- ভিডিওটি ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে তৈরি করতে হবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত রিলস ভিডিও আপলোড করতে হবে।
- প্রতিদিন একই সময়ে রিলস ভিডিও আপলোড করতে হবে।
- ভিডিও শুরুতেই আকর্ষণীয় বিষয় তুলে ধরতে হবে যেন ভিউয়ার পুরো ভিডিও দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।
- সব সময় ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- ভালো মানের ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- ভিডিওতে অবশ্যই একটি ভাল মানের মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে হবে।
- কন্টেন্ট এর মান ভালো করতে হবে।
- ভাইরাল হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
- আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করতে হবে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ফেসবুকে কি ১০০০ ভিউ ভাইরাল?উত্তরঃ ফেসবুকের কোন ভিডিও ১০০০ ভিউ হলে সেটা ভাইরাল হয় না। বর্তমানে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়া মানে কয়েক মিলিয়ন ভিউ হওয়া।
প্রশ্নঃ ফেসবুক মনিটাইজ করতে কত ফলোয়ার লাগে?
উত্তরঃ ফেসবুক মনিটাইজ করতে কমপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার লাগে, আর যদি আপনি ভিডিও কনটেন্ট মনিটাইজ করতে চান তাহলে ৬০ দিনে ৬ লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম লাগবে। তাহলে ফেসবুকে মনিটাইজ এর আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে ১০ হাজার ভিউ সমান কত টাকা?
উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রতি এক হাজার ভিউ সমান ০.১ সেন্ট প্রদান করা হয় তার মানে প্রতি ১০০০০ সমান সর্বোচ্চ ৮-১০ সেন্ট প্রদান করা হয়।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে ৫০০ ফলোয়ার থাকলে কি পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফেসবুকে ৫০০ ফলোয়ার হলে স্টার নামক একটি অপশন পাওয়া যায়। যেটি ফেসবুক মনিটাইজ এর একটি অংশ। তবে এখানে বিজ্ঞাপন আসবে না আপনার কন্টেন্ট দেখে যদি কেউ স্টার প্রদান করে সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হবে।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে কত ডলার হলে টাকা তোলা যায়?
উত্তরঃ ফেসবুকে টাকা তোলার জন্য কমপক্ষে আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার হতে হবে। টাকা তোলার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ট্যাক্স ইনফরমেশন যোগ করতে হবে।সেই সাথে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট ও যোগ করতে হবে।
শেষ কথাঃ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক জানুন
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার অসাধারণ ১০টি টেকনিক সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে ইনকামের সবচেয়ে সহজ এবং ভালো একটি মাধ্যম হল ফেসবুক।আপনি ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজমেন্ট পাওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যান তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।বর্তমানে আমাদের দেশে একবার ভাইরাল হতে পারলেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আর আপনি কিভাবে ফেসবুকে ভাইরাল হবেন সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য আপনাকে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। যেখানে ক্যামেরা সাউন্ড সহ সবকিছু উন্নতমানের হতে হবে। ট্রেনডিং টপিক এর উপর ভিডিও তৈরি করে দ্রুত ভাইরাল হতে পারেন।



এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url