ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫ - সিলেট থাকার ব্যবস্থা ২০২৫
ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন।ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত রেলপথ ২০২৫ সালে যাত্রীদের জন্য একটি সাশ্রয়ী, আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
- ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
- সিলেট থাকার ব্যবস্থা ২০২৫
- ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের মোট সংখ্যা ও ধরন
- প্রতিটি ট্রেনের নির্ধারিত ছুটির দিন
- ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের যাত্রা ও আগমন সময়
- ট্রেনের ধরন অনুযায়ী ভাড়া শ্রেণী ও মূল্য
- ট্রেনের স্টপেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহ
- ঈদ ও বিশেষ ছুটির দিনে ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন
- FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
ঢাকা টু সিলেট ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
- মোট ট্রেন সংখ্যা: ঢাকা থেকে সিলেট রুটে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ১টি মেইল ট্রেন চলাচল করে।
- ইন্টারসিটি ট্রেনের নাম: পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালানী এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেস।
- মেইল ট্রেন: সুরমা মেইল -এটি তুলনামূলকভাবে ধীরগতি সম্পন্ন হলেও রাতের যাত্রার জন্য অনেকের পছন্দ।
- যাত্রা সময়: ইন্টারসিটি ট্রেনগুলো সাধারণত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেটে পৌঁছে। মেইল ট্রেনের যাত্রা সময় ১২ ঘণ্টার বেশি।
- সাপ্তাহিক ছুটি: প্রতিটি ইন্টারসিটি ট্রেনের নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রয়েছে, যেমন পারাবতের মঙ্গলবার, উপবনের বুধবার ইত্যাদি।
- ভাড়ার শ্রেণী: শোভন, শোভন চেয়ার, প্রথম শ্রেণি, স্নিগ্ধা, এসি চেয়ার ও এসি বার্থ – এসব শ্রেণীতে আসন পাওয়া যায়। ভাড়া শ্রেণি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।
- টিকিট কাটা পদ্ধতি: সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আগেভাগে টিকিট কাটা যায়। বিশেষ দিন বা ছুটির সময়ে আগে টিকিট কাটা জরুরি।
- ভ্রমণ উপযোগী ট্রেন নির্বাচন: যারা দ্রুত ও আরামে যেতে চান, তাদের জন্য সকাল বা দুপুরের আন্তঃনগর ট্রেন ভালো। আর যারা রাতে যাত্রা পছন্দ করেন, তারা উপবন বা সুরমা ট্রেন বেছে নিতে পারেন।
সিলেট থাকার ব্যবস্থা ২০২৫
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের মোট সংখ্যা ও ধরন
-
ঢাকা থেকে সিলেট রুটে মোট ৫টি ট্রেন চলাচল করে: ৪টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস এবং ১টি মেইল ট্রেন।
-
আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন: পারাবত, জয়ন্তিকা, কালানী, উপবন এক্সপ্রেস।
-
মেইল ট্রেন: সুরমা মেইল, যা ধীরগামী হলেও বাজেটবানদের জন্য উপযোগী।
-
প্রতিটি ট্রেনের নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে, যেমন পারাবত এক্সপ্রেসের মঙ্গলবার ছুটি।
-
যাত্রার সময় প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে, মেইল ট্রেনের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।
-
আসনের শ্রেণী হিসেবে রয়েছে: শোভন, শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি চেয়ার ও এসি বার্থ।
-
ট্রেনের ভাড়া শ্রেণী অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়, আর ভাড়া সাধারণত অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে সাশ্রয়ী।
-
প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও আরামদায়ক সুবিধা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়।
-
ট্রেনের টিকিট সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন কাউন্টার থেকে পাওয়া যায়।
-
বিশেষ ছুটির দিন এবং উৎসবের সময় ট্রেনের সময়সূচীতে সাময়িক পরিবর্তন হতে পারে, তাই আগেভাগেই তথ্য যাচাই করা জরুরি।
প্রতিটি ট্রেনের নির্ধারিত ছুটির দিন
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেন চলাচলে প্রতিটি ট্রেনের নির্দিষ্ট ছুটির দিন থাকে, যা ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাধ্যতামূলক। এই ছুটির দিনগুলোতে সেই particular ট্রেনটি চলাচল করে না, তাই যাত্রীদের জন্য যাত্রা পরিকল্পনা করার সময় এগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেনগুলো ছুটির দিনে সার্ভিস বন্ধ থাকায়, যাত্রীরা অন্য দিন বা অন্য ট্রেনের সময় অনুসারে যাত্রার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
ছুটির দিনগুলি এক ধরনের বিশ্রামকাল ট্রেনের জন্য, যাতে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করা হয় এবং যাত্রীদের নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করা যায়। যাত্রীদের জন্য সুবিধার কথা ভেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এসব ছুটি আগেভাগেই ঘোষণা করে থাকে, যাতে তারা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নিজেদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারেন।
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনগুলোর নির্ধারিত ছুটির দিন
-
পারাবত এক্সপ্রেস: প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ছুটি থাকে।
-
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস: প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার বন্ধ থাকে।
-
কালানী এক্সপ্রেস: সপ্তাহে বুধবার ছুটির দিন।
-
উপবন এক্সপ্রেস: রোববার ট্রেনটি চলাচল করে না।
-
সুরমা মেইল: বৃহস্পতিবার এই ট্রেনটি ছুটিতে থাকে।
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের যাত্রা ও আগমন সময়
-
পারাবত এক্সপ্রেস: ঢাকা থেকে ছাড়া সময় – সকাল ৭:০০ টা, সিলেটে আগমন – দুপুর ১:৩০ টা
-
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস: ঢাকা থেকে ছাড়া সময় – দুপুর ২:০০ টা, সিলেটে আগমন – সন্ধ্যা ৮:৩০ টা
-
কালানী এক্সপ্রেস: ঢাকা থেকে ছাড়া সময় – বিকাল ৪:১৫ টা, সিলেটে আগমন – রাত ১০:৪৫ টা
-
উপবন এক্সপ্রেস: ঢাকা থেকে ছাড়া সময় – রাত ৮:০০ টা, সিলেটে আগমন – পরের দিন ভোর ২:৩০ টা
-
সুরমা মেইল: ঢাকা থেকে ছাড়া সময় – সকাল ৬:৩০ টা, সিলেটে আগমন – বিকেল ৫:০০ টা (আনুমানিক)
ট্রেনের ধরন অনুযায়ী ভাড়া শ্রেণী ও মূল্য
-
শোভন (Non-AC General): সবচেয়ে কম দামী ও সাধারণ আসন, প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা হতে পারে।
-
শোভন চেয়ার (Non-AC Chair): একটু আরামদায়ক চেয়ার আসন, প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
-
স্নিগ্ধা (AC Sleeper): মাঝারি মানের এসি বার্থ, প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
-
এসি চেয়ার (AC Chair): সবচেয়ে আরামদায়ক এসি চেয়ার, ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।
-
এসি বার্থ (AC Berth): সবচেয়ে আরামদায়ক বার্থ, প্রায় ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।
ট্রেনের স্টপেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহ
-
নারায়ণগঞ্জ
-
টঙ্গী
-
কুমিল্লা
-
গোয়াইনঘাট
-
কুলাউড়া
-
সিলেট
-
আদ্রা
-
শ্রীমঙ্গল
-
বড়লেখা
-
বালাগঞ্জ
-
মাইজদী
ঈদ ও বিশেষ ছুটির দিনে ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন
-
ছুটির দিনে অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন চালু করা হয় যাত্রীর চাপ সামলাতে।
-
বিদ্যমান ট্রেনগুলোর যাত্রা ও আগমন সময়ে সাময়িক পরিবর্তন হতে পারে।
-
ছুটির দিনে কিছু ট্রেনের নির্ধারিত ছুটি তুলে নেওয়া হতে পারে।
-
অধিক ভিড়ের কারণে ট্রেনগুলো কিছু স্টপেজে অতিরিক্ত সময় কাটাতে পারে।
-
যাত্রীদের সময়মতো টিকিট কাটতে আগ্রহী হওয়া উচিত, কারণ টিকিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।
-
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ছুটির সময় ট্রেন পরিষেবার গুণগত মান বজায় রাখতে বিশেষ নজর রাখে।
-
যাত্রীদের জন্য ট্রেনের সর্বশেষ সময়সূচী ও পরিবর্তনগুলো রেলওয়ের অফিসিয়াল মাধ্যম থেকে যাচাই করা জরুরি।
-
ট্রেন যাত্রার পূর্বে স্টেশন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য সংগ্রহ করলে যাত্রা সুষ্ঠু হয়।
এভাবে ঈদ এবং অন্যান্য উৎসবের সময় রেলের বিশেষ ব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য
যাত্রাকে সহজ এবং সুষ্ঠু করতে সাহায্য করে। আপনি যদি এই সময়ে ট্রেন
ব্যবহার করেন, তাহলে আগেভাগে সময়সূচী যাচাই করে রাখা সবচেয়ে ভালো।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url