সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে আমরা অনেক সময় এই সুযোগটি মিস করে থাকি। তাই আজ আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো আমাদের দেশ থেকে সরকারের ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি এই আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে এই বিষয়ে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন।এছাড়া আপনি আরো জানতে পারবেন বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি সম্পর্কে। তাই বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়

আপনারা অনেকেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে  জানতে চান। কারণ সঠিক তথ্য না জানা থাকার কারণে অনেকেই সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারেন না। সরকারিভাবে বিদেশ গেলে একদিকে যেমন খরচ কম হয় অন্যদিকে তেমন নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়। তাই আমাদের সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে আমরা সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারিনা। তাই চলুন সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল গুগল প্লে স্টোর থেকে Ami Probashi অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। এরপর অ্যাপসটি ওপেন করে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট এর সকল যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন দেশে যেতে চান। আপনার পছন্দের দেশটি সিলেক্ট করে সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।

আপনি কোন দেশে যেতে চান, সেই দেশে গিয়ে আপনি কি কাজ করতে চান, ওই কাজ বাবদ কত টাকা বেতন পাওয়া যাবে, ওই প্রতিষ্ঠানে আপনি কতদিন চাকরি করতে পারবেন এসব বিষয়ে সকল তথ্য আপনি Ami Probashi অ্যাপস এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। সমস্ত বিষয় ভালোভাবে জেনে তারপর আপনাকে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর আপনার যাবতীয় সকল তথ্য তারা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখবে।

আপনি বিদেশে গিয়ে যে কাজ করতে চান সেই কাজের উপর আপনার কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে আপনাকে দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। আপনার কাগজপত্র ও সমস্ত তথ্য দিয়ে যাচাই-বাছাই করে সঠিক মনে হলে তারা আপনার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য কল করবে। আপনি ভালোভাবে ইন্টারভিউ দিতে পারলে এবং তাদের পছন্দ হলে আপনি খুব সহজেই সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হল কোনরকম দালাল ধরার প্রয়োজন হবে না।

এভাবে আপনি নিজেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনি এই সমস্ত কাজ করতে না পারেন তাহলে যে কোন একটি সরকারি এজেন্সির সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। তারা তাদের এজেন্সির মাধ্যমে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেবে। হয়তোবা এক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। কারণ যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে তারা তাদের খরচ বাবদ কিছু টাকা নিতে পারে।

বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি

যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহী তারা বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি সম্পর্কে জানতে চান। আমাদের দেশে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক এজেন্সি আছে এদের মধ্যে কয়েকটি আছে সরকারি এজেন্সি। এসব সরকারি এজেন্সি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে সহজে এবং অল্প খরচে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়। সরকারি এজেন্সের মাধ্যমে বিদেশ গেলে একদিকে যেমন খরচ কম হয় অন্যদিকে তেমন নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়। চলুন তাহলে বিদেশ যাওয়ার সরকার এজেন্সি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি সমুহঃ
  • 4 Site International Ltd
  • 5M International Ltd
  • A B M Overseas Ltd
  • A Halim Internatioal
  • A N Z Group Multi Mega Services
  • A A Overseas Ltd
  • A B Establishment Ltd
  • A M Air Travels Ltd
  • A J Corporation
এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। সব থেকে ভালো হয় আপনি নিজে থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া। তবে যারা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তারা এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের এরকম আরো অনেক এজেন্সি আছে যেগুলো বেসরকারি এজেন্সি। আর বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ নিরাপত্তা কম। অপরদিকে সরকারিভাবে সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গেলে ঝুঁকি কম থাকে অর্থাৎ নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে বয়স কত লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে বয়স কত লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে বয়স কত লাগে এই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জানতে চান বিশেষ করে যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহী। এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশ থেকে যাচ্ছেন এবং কোন দেশে যাবেন। আবার আপনি শ্রমিক হিসেবে যাবেন না টুরিস্ট ভিসায় যাবেন। যদি আপনি শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর।কারণ আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর এর কম বয়স হলে তাকে নাবালক বা শিশু বলা হয়।

শিশুদেরকে সাধারণত শ্রমিক ভিসা দেওয়া হয় না। তাই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসায় যেকোনো দেশে যেতে হলে বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। আর যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় বা চিকিৎসা ভিসায় সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান সে ক্ষেত্রে বয়সের কোন লিমিট থাকে না। অর্থাৎ আপনি যে কোন বয়সে টুরিস্ট অথবা চিকিৎসা ভিসা নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন। আবার আপনি শ্রমিক ভিসায় যে দেশে যাবেন সে দেশে সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে লোক নেবে সেদিকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়। সাধারণত আমাদের দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে সরকারিভাবে শ্রমিক ভিসায় বিদেশ গেলে ১ থেকে ৩ লক্ষ পর্যন্ত টাকা লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দালালের শরণাপন্ন হওয়া যাবে না। দালাল ধরার মাধ্যমে সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

এই আর্টিকেলের প্রথমেই বলা আছে আপনি কিভাবে নিজেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন। অর্থাৎ বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে বিশেষ করে সরকারিভাবে যেতে কোন দালালের প্রয়োজন হয় না। পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা প্রসেসিং, বিমানের টিকিট খরচ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স খরচ, মেডিকেল রিপোর্টসহ যাবতীয় সকল কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আশা করি বিষয়টি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায়

সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায় এই বিষয়ে আমাদের দেশে অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। যার ফলে বিদেশে যাওয়ার আগে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তির শিকার হতে হয়। আর যদি আগে থেকেই জানা থাকে সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায়। তাহলে যে ব্যক্তি বিদেশ যাবেন তার জন্য খুব ভালো হয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায়।
  • হোটেল বয়
  • হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা শ্রমিক
  • ওয়েটার
  • বাগান পরিদর্শক
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
  • নার্স
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
  • কম্পিউটার অপারেটর
  • বিভিন্ন অফিসে দারোয়ান
  • ক্লিনারের কাজ
  • কৃষি কাজ
  • টেইলার্স শ্রমিক
  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি
  • ড্রাইভার
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিক
  • রাধুনী
  • ধোপা
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশ যেয়ে সাধারণত এসব কাজ করতে হয়। যদি এইসব কাজের বিষয়ে আপনার আগে থেকেই দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো। কারণ ভালো দক্ষতা সম্পন্ন লোকজনকে বিদেশে বেতন বেশি দেওয়া হয় এবং তাদেরকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে এই কাজগুলোর বিষয়ে এখন থেকে দক্ষতা অর্জন শুরু করুন। পরবর্তীতে সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে আপনি সেখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট

আপনারা অনেকেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে চান। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার যে ওয়েবসাইট তা হল https://Probashi.gov.bd । এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। অথবা আপনার মোবাইল ফোন থেকে Ami Probashi অ্যাপ ইন্সটল করে সেখান থেকে আবেদন করতে পারবেন সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। এই দুইটির মধ্যে আপনি যে কোন একটি বেছে নিতে পারেন।

এই দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোনরকম দালাল ধরার প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করে বিদেশ যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে অনেক কম। কিন্তু আপনি যদি দালালের মাধ্যমে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে অনেক বেশি। তাই চেষ্টা করবেন নিজে নিজেই আবেদন করার জন্য। এতে করে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ নিরাপদ।

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহী তারা বেশিরভাগই এই প্রশ্নটি করে থাকেন যে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আপনারা অনেকেই অনেক সময় বিভ্রান্তির শিকার হন। তাই চলুন এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেয়া যাক। আপনি বাংলাদেশ থেকে যদি শ্রমিক হিসেবে যান তাহলে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে সরকারি ভাবে যেতে পারবে।আবার যদি আপনি অন্যান্য ভিসায় যান তাহলে আপনি নির্দিষ্ট কয়েকটা দেশে যেতে পারবেন।

কারণ শ্রমিক হিসেবে আমাদের দেশ থেকে সকল দেশেই সরকারিভাবে যাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি অন্যান্য ভিসায় সরকারিভাবে অনেক দেশেই যেতে পারবেন। তাই যদি আপনি শ্রমিক ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। সরকারিভাবে বিদেশ গেলে একদিকে যেমন খরচ কম অন্যদিকে তেমনি ঝুঁকি কম থাকে। আর সরকারিভাবে বিদেশ না গেলে খরচ যেমন বেশি হয় তেমনি ঝুঁকি বেশি থাকে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তার তালিকাঃ 
 
ক্রমিক নং দেশের নাম ওয়েবসাইট
সৌদি আরব https://probashi.gov.bd
কাতার https://probashi.gov.bd
ওমান https://probashi.gov.bd
লেবানন https://probashi.gov.bd
জাপান Ami Probashi
অস্ট্রেলিয়া https://probashi.gov.bd
কানাডা https://probashi.gov.bd
রোমানিয়া https://probashi.gov.bd
ভারত https://probashi.gov.bd
১০ দক্ষিণ কোরিয়া https://probashi.gov.bd
১১ সিঙ্গাপুর https://probashi.gov.bd
১২ কুয়েত https://probashi.gov.bd
১৩ যুক্তরাজ্য https://probashi.gov.bd
১৪ যুক্তরাষ্ট্র https://probashi.gov.bd
১৫ সংযুক্ত আরব আমিরাত https://probashi.gov.bd
১৬ লন্ডন https://probashi.gov.bd
১৭ মালয়েশিয়া https://probashi.gov.bd
১৮ মালদ্বীপ https://probashi.gov.bd
১৯ ইরাক https://probashi.gov.bd
২০ সুইজারল্যান্ড https://probashi.gov.bd
২১ কম্বোডিয়া https://probashi.gov.bd
২২ লিবিয়া https://probashi.gov.bd
২৩ জর্ডান https://probashi.gov.bd
২৪ ইতালি https://probashi.gov.bd
২৫ জামাইকা https://probashi.gov.bd
২৬ বাহারাইন https://probashi.gov.bd
২৭ নিউজিল্যান্ড https://probashi.gov.bd
২৮ ফিনল্যান্ড https://probashi.gov.bd
২৯ মরিশাস https://probashi.gov.bd
৩০ থাইল্যান্ড https://probashi.gov.bd
৩১ চীন https://probashi.gov.bd
৩২ শ্রীলংকা https://probashi.gov.bd
৩৩ ব্রুনাই https://probashi.gov.bd
৩৪ ডেনমার্ক https://probashi.gov.bd
৩৫ ফ্রান্স https://probashi.gov.bd
৩৬ পোল্যান্ড https://probashi.gov.bd

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাদের জন্য এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি আগে থেকে জেনে থাকেন কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন তাহলে আপনি সহজেই সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। তাই এই বিষয়টি জেনে রাখা ভালো। যদি আপনার আগে থেকে চিন্তাভাবনা থাকে আপনি সরকারীভাবে বিদেশ যাবেন তা হলে এই কাগজপত্রগুলো এখন থেকেই সংগ্রহ শুরু করুন।
  • সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগেঃ
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট
  • দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আপনি যে দেশে যেতে চান সে দেশের ভিসা
  • কর্মসংস্থান চুক্তিপত্র
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • বিমানের টিকিট
  • দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নম্বর
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

 
কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায়?
বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি কোন দেশে যেতে চান সে দেশের একটি ভিসা থাকতে হবে, যার কমপক্ষে তিন মাস মেয়াদ আছে। এই দুটি কাগজ কনফার্ম করার পর আপনি কোন দেশে যেতে চান সে দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনটি গ্রহণ করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বিমানের টিকিট, ও প্রয়োজনীয় ডলার সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
  • বিদেশ যেতে কি কি লাগে?
  • বিদেশ যেতে আপনার যে যে জিনিসপত্র লাগবে তা হল-
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট
  • একটি ভিসা
  • এনআইডি কার্ড
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • কিছু পরিমাণ ডলার
বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়?
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন উদ্দেশ্যে বিদেশ যাচ্ছেন। যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় যান তাহলে আপনি কোন কোন জায়গায় থাকবেন এবং ঘুরবেন সেসব জায়গায় খরচ অনুযায়ী আপনাকে টাকা নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসা ভিসায় যেতে চাইলে আপনি কোন ধরনের চিকিৎসা করতে চান সেই অনুযায়ী আপনাকে টাকা নিতে হবে। আর যদি শ্রমিক বিষয় যদি চান তাহলে ১ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

কিভাবে ফ্রিতে বিদেশ যাওয়া যায়?
ফ্রিতে বিদেশ যাওয়ার একমাত্র উপায় হল স্কলারশিপ নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া। তাছাড়া আপনি অন্যান্য কাজের জন্য ফ্রিতে বিদেশ যেতে পারবেন না। একমাত্র স্টুডেন্টরাই স্কলারশিপ নিয়ে ফ্রিতে বিদেশ যেতে পারবেন। এতে করে কোন খরচ হওয়ার সুযোগ নেই। অথবা সরকারিভাবে সরকারি খরচে দেশের বিভিন্ন কাজে ফ্রিতে বিদেশ যেতে পারবেন তবে এটা সবার জন্য নয় আমাদের দেশের বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য।

কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগবে?
আমাদের দেশ থেকে কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগবে এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে বিদেশ যেতে চান এবং কোন মহাদেশে যেতে চান।যদি আপনার টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর যদি শ্রমিক হিসেবে যেতে চান তাহলে ১ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই প্রকৃতপক্ষে কত টাকা খরচ হবে তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ভিসা ও দেশের উপর।

শেষ কথাঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে। বর্তমানে আমাদের দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে আপনি ঘরে বসে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার ইচ্ছামত যে কোন দেশ এবং যে কোনো পেশার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোন দালাল ধরার প্রয়োজন হবে না। এবং আপনি ঝুঁকিমুক্তভাবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন।

এছাড়া এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারলেন, বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি, সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে বয়স কত লাগে, সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, সরকারিভাবে বিদেশ গেলে কি কি কাজ পাওয়া যায়, সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে কত টাকা খরচ হয় ইত্যাদি সম্পর্কে আপনারা জানতে পারলেন। আপনারা সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজে বিদেশ যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য লেখক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হচ্ছে আপনি পাসপোর্ট তৈরি করার পরে কোন দেশে যেতে চান সে দেশের একটা ভিসা তৈরি করে নিবেন। এরপর আপনার ফোন থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপস ব্যবহার করে যে দেশে যেতে চান সে দেশ সিলেক্ট করে, কোন ধরনের কাজ করতে চান সে কাজকে সিলেক্ট করে সহজেই ঘরে বসে আবেদন করুন। এতে করে আপনি ঝামেলায় কম পড়বেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url