বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫
বর্তমানে আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিং জগতে অন্যতম একটি নাম হলো বিকাশ। আর বিকাশ
এজেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করা যায়। তাই আপনারা অনেকেই
জানতে চান বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে।
আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে। এছাড়াও আজকের পোস্টে আরও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে তা
হল- বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে, বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত, বিকাশ এজেন্ট পাওয়ার
শর্ত কি। বিস্তারিত সকল সঠিক তথ্য জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ
রইলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি
- বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে
- বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত
- বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট পাওয়ার শর্ত কি
- বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা
- বিকাশ এজেন্ট এর অসুবিধা
- বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কত টাকা লাভ
- বিকাশে সর্বোচ্চ কত টাকা পেমেন্ট করা যায়
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫
প্রিয় পাঠক আপনি কি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য। কারণ এই
পোস্টে আলোচনা করা হবে কিভাবে সঠিক উপায়ে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা যায়।
সঠিকভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে প্রতি মাসে এখান থেকে অনেক টাকা আয় করা
যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫
সম্পর্কে।
আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট দুইভাবে খুলতে পারবেন। এর মধ্যে একটি হলো আপনি সরাসরি
অফিসে গিয়ে আবেদন করে ও কাগজপত্র জমা দিয়ে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন।
আর অন্যটি হল আপনি অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে
পারবেন।
সরাসরি বিকাশ অফিসে গিয়ে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
- আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশের সকল শর্ত জেনে এবং মেনে আপনাকে নিকটবর্তী বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে যেতে হবে।
- বিকাশের শর্ত অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
- কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সেগুলো যাচাই বাছাই করে আপনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার উপযুক্ত হলে আপনাকে ট্রেনিং-এ ডাকা হবে।
- ট্রেনিং হওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার সিমটিকে বিকাশ এজেন্ট হিসেবে চালু করে দেওয়া হবে।
- অনলাইন থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
- প্রথমত আপনাকে বিকাশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর এজেন্ট অপশনটি খুজে নিতে হবে।
- এরপর এজেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এজেন্ট অপনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসবে
- উক্ত ফর্মটিতে আপনার দোকানের নাম, আপনার জেলা ও আপনার এলাকার নাম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- এরপর ফোন নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস দিয়ে বাকি জায়গা গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- এসব তথ্য পূরণ করার পরে নিচে আরেকটি ফর্ম চলে আসবে যেখানে লেখা থাকবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে কি।
- উক্ত জায়গায় আপনাকে হ্যাঁ এর জায়গায় টিক দিতে হবে।
- আপনার কি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স আছে, থাকলে উক্ত জায়গায় হ্যাঁ তে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার ও ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ লিখে দিতে হবে।
- সর্বশেষ আমি রোবট নই এই অপশনটি ক্লিক করে, জমা দিন অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
- আপনার সকল তথ্য জমা হয়ে গেল, এরপর বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার যাবতীয় সকল তথ্য যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি
আপনারা অনেকেই জানতে চান বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হলো একজন
বিকাশ প্রতিনিধির একাউন্ট। অর্থাৎ যিনি বিকাশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন তাকে
বিকাশ এজেন্ট বলা হয়। একজন বিকাশ এজেন্ট তার গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের বিল
পরিশোধ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ সহ বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দিয়ে
থাকে।
আরো পড়ুনঃ
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা চালু আছে
বিকাশের যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় তাকেই বিকাশ
এজেন্ট একাউন্ট বলা হয়। আপনি যদি পার্সোনাল ভাবে ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করতে চান
তবে অবশ্যই আপনাকে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্টের সহযোগিতা নিতে হবে। কারণ বিকাশ
এজেন্ট একাউন্টে সহযোগিতা ছাড়া আপনি কোনভাবেই ক্যাশ আউট বা ক্যাশ ইন এর কাজ করতে
পারবেন না।
বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে
একজন বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে আপনারা অনেকেই এই বিষয়ে জানতে চান। বিকাশ
এজেন্ট হতে বেশ কিছু ডকুমেন্টসহ একটি এজেন্ট সিম লাগবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক বিকাশ এজেন্ট হতে আর কি কি লাগবে।
- দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- একটি এজেন্ট সিম
- টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি
- একটি দোকান
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অন্য কোন সাইজের ছবি চলবে না।
আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্সঃ
বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। আপনার
নিকটস্থ উপজেলা অথবা পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স
করে নিতে হবে।আপনি যে নাম দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স খুলবেন সেই নাম দিয়ে এজেন্ট
অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপিঃ
আপনাকে আপনার নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে, বিকাশ এজেন্ট
আবেদনের সাথে।
একটা সিমঃ
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য একটি প্রি-পেইড সিম লাগবে। যে সিমে এর আগে কখনোই বিকাশ
একাউন্ট খোলা নাই এমন একটা সিম প্রয়োজন হবে।
টিন সার্টিফিকেটঃ
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই একটি টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। টিন
সার্টিফিকেট না থাকলে বিকাশ এজেন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম। আপনি যে কোন
কম্পিউটারের দোকান থেকে অথবা নিজেই ওয়েব সাইট থেকে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে
পারবেন।
একটি দোকানঃ
বিকাশ এজেন্ট নিতে হলে আপনার একটি দোকান থাকতে হবে। সেই দোকানের অবস্থান এমন হবে
যেখানে প্রতিদিন অনেক পরিমাণ টাকা লেনদেন হবে। দোকান না থাকলে আপনাকে এজেন্ট
দেওয়া হবে না।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত
যারা বিকাশ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করে থাকেন তাদের কমিশন কত। আমরা যারা গ্রাহক
হিসেবে বিকাশের লেনদেন করে থাকি তাদের সবার মনে এই প্রশ্ন থেকে যায়। চলুন তাহলে
জেনে নেওয়া যাক একজন বিকাশ এজেন্ট কত টাকা কমিশন পায়।
একজন বিকাশ এজেন্ট সাধারণত দুইভাবে কমিশন পেয়ে থাকেন।
- বিকাশ ইউএসএসবি কোড ডায়াল করে লেনদেন
- বিকাশ এজেন্টের অ্যাপস থেকে লেনদেন
- যদি আপনি বিকাশ এজেন্ট এপ্স থেকে লেনদেন করেন তাহলে প্রতি হাজারে পাবেন ৪ টাকা ৩০ পয়সা।
- আর যদি ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে লেনদেন করেন তাহলে পাবেন প্রতি হাজারে ৪ টাকা ১০ পয়সা।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
যারা বিকাশ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করতে চান তারা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন যে বিকাশ
এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা
লাগবে এর নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই। এটা নির্ভর করা সম্পন্ন আপনার লেনদেনের উপরে।
তার কারণ হলো অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না।
আপনি যদি শহরে থাকেন তাহলে আপনার এজেন্ট একাউন্টে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা রাখতে
হবে। আর যদি আপনি গ্রাম পর্যায়ে ব্যবসা করেন তাহলে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা রাখলেই
চলবে। শহরে এজেন্ট একাউন্ট বেশি টাকা রাখতে হয় কারণ এখানে লেনদেন বেশি হয়। আর
গ্রামে বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে অল্প টাকা রাখলেও লেনদেন করা যায় কারণ ওখানে
লেনদেন কম হয়।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট পাওয়ার শর্ত কি
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট পাওয়ার জন্য কি কি শর্ত মানতে হবে এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কারণ প্রত্যেকটা কাজ করতে গেলে নির্দিষ্ট
কয়েকটি শর্ত মানতে হয়। তেমনি বিকাশ এজেন্ট এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুইটি শর্ত মেনে
চলতে হবে। শর্ত দুটি হল-
আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ হাজার টাকার লেনদেন সচল রাখতে
হবে।
আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে সব সময় ব্যালেন্স কমপক্ষে ৭ হাজার টাকা রাখতে হবে।
বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা
যারা নতুন করে বিকাশ এজেন্ট নিতে চান তারা অনেকেই জানতে চান যে বিকাশ এজেন্ট এর
সুবিধা কি। কারন নতুন করে ব্যবসা করতে গেলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় এ বিষয়টি
সবাই জানতে চায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা কি কি।
- বিকাশে লেনদেনের মাধ্যমে এখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাওয়া যায়।
- আপনি যদি এক মাসের টার্গেট পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এক্সট্রা ইনসেন্টিভ এর ব্যবস্থা আছে।
- আপনি যদি আপনার গ্রাহকদের পার্সোনাল একাউন্ট খুলে দেন তাহলে অ্যাকাউন্ট প্রতি আপনাকে ৫০ টাকা প্রদান করা হবে।
- যেহেতু এজেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পে করা যায় তাই সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কমিশন পাবেন।
- এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে সহজে লেনদেন করা যায়।
- এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে লিমিট ছাড়া লেনদেন করতে পারবেন।
- আপনার গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়ে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
বিকাশ এজেন্ট এর অসুবিধা
বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা থাকার পাশাপাশি কিছু কিছু অসুবিধা আছে। কারণ পৃথিবীতে
প্রত্যেকটা জিনিসেরই সুবিধা ও অসুবিধা দুইটা দিক থাকে। তেমনি বিকাশের কিছু
অসুবিধা আছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট এর অসুবিধা সমূহ কি কি।
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে সব সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হবে।
- আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লেনদেন করতে হবে, না হলে আপনার অ্যাকাউন্ট ক্লোজড হয়ে যাবে।
- প্রতি মাসে আপনার নির্দিষ্ট একটি টার্গেট থাকবে যেটা আপনাকে পূরণ করতে হবে।
- লেনদেন কম হলে আপনার ইনকাম কমে যাবে।
- নাম্বার ভুল হলে আপনার টাকা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কত টাকা লাভ
যারা বিকাশ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন তারা কত টাকা লাভ করে থাকেন। বিকাশ
কোম্পানি বিকাশ এজেন্টদেরকে প্রতি হাজারে ৪ টাকা ১০ পয়সা হারে লাভ প্রদান করে
থাকেন। তবে যদি কোন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে
তাকে হাজারে ৪ টাকা ৩০ পয়সা হারে কমিশন প্রদান করা হয়। অর্থাৎ কোন বিকাশ এজেন্ট
একাউন্ট যদি প্রতিদিন এক লক্ষ টাকা লেনদেন করেন তাহলে তিনি ৪১০ টাকা থেকে ৪৩০
টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
বিকাশে সর্বোচ্চ কত টাকা পেমেন্ট করা যায়
একজন বিকাশ গ্রাহক হিসেবে বিকাশ একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পেমেন্ট করা যায়
এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই জানতে চান। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই বিকাশে বিভিন্ন
ধরনের পেমেন্ট করে থাকেন। আবার বিকাশ কোম্পানি বিকাশ থেকে পেমেন্ট করলে
ক্যাশব্যাক প্রদান করেন। সে ক্ষেত্রে অনেকেই জানতে চান যে একদিনে কত টাকা
সর্বোচ্চ পেমেন্ট করা যাবে।
একজন বিকাশ গ্রাহক একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। এর বেশি
কোনভাবেই একদিনে পেমেন্ট করতে পারবেন না। তাই যারা বিকাশে পেমেন্ট করতে চান তারা
এই বিষয়টি অবশ্যই জেনে রাখবেন।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
বিকাশে সেন্ড মানি খরচ কত?
একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা লেনদেন করে থাকেন তাহলে তার
ক্ষেত্রে কোন খরচ লাগবে না।
আবার একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যদি প্রতিদিন ১০১ টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার
টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে থাকেন তাহলে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ টাকা চার্জ কাটা
হবে।
তবে যদি প্রিয় নাম্বারে লেনদেন করেন তাহলে কোন প্রকার টাকা কাটা হবে না।
বিকাশ এজেন্ট লিমিট কত?
- একজন বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ইন করতে পারবেন।
- বিকাশ এজেন্ট হিসেবে প্রতিদিন সেন্ড মানি করতে পারবেন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা।
- ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে একজন এজেন্ট প্রতিদিন ক্যাশ আউট করতে পারবেন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা।
বিকাশে ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে কি করব?
বিকাশে ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে যা করতে হবে তা হল অতি দ্রুত বিকাশের
হেল্পলাইন ১৬২৪৭ এই নাম্বারে কল করতে হবে। এছাড়াও ফেসবুক বা লাইভ চ্যাটে আপনার
সমস্যার কথা দ্রুত বলতে হবে।
যত দ্রুত আপনি আপনার সমস্যা কথা বলতে পারবেন তত দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান
হবে।
শেষ কথাঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে বিকাশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ
করে, এজেন্ট অপশন টিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট ফর্ম চলে আসবে,
ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে, ওদের অফিসে যোগাযোগ করতে
হবে।
আর এভাবেই আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
আপনারা আরো জানতে পারলেন, বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি, কিভাবে বিকাশ এজেন্ট
একাউন্ট খুলতে হয়, বিকাশ এজেন্ট হওয়ার শর্ত কি,এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
লেখক হিসেবে আমার মন্তব্য হলো, আপনার যদি একটি দোকান থাকে তাহলে আপনি এই এজেন্ট
নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url